সিলেটে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা হত্যা: ২দিনেও গ্রেফতার নেই
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ জুলাই ২০১৬, ৭:৪৬ অপরাহ্ণ
সিলেট সুরমা: সিলেট নগরীতে দিনে-দুপুরে স্বেচ্ছাসেবকলীগকর্মী আব্দুল্লাহ অন্তরকে গলা কেটে হত্যার ২দিনেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। নগরীর পাঠানটুলার পার্কভিউ এলাকার মোহনা ব্লক- এ/ ১০৯ নম্বরের টিনশেড বাসায় বছর খানেক ধরে ভাড়া থাকতেন আব্দুল্লাহ অন্তর। নেহার মঞ্জিল নামের এই বাসাটির মালিক ১৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমদ সানি। রোববার (১০ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে এই বাসায়ই (নেহার মঞ্জিল) খুন হন স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী অন্তর (৩৫)। তার গ্রামের রাজশাহী জেলায় বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সানির সাথে আব্দুল্লার অন্তরের বাসা ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ঈদের বন্ধের মধ্যে বেশ কয়েকদিন বাসায় ছিলেন না আব্দুল্লাসহ। রোববার সকালে স্ত্রী সন্তানসহ তিনি বাসায় ফেরেন। আব্দুল্লাহ আসার খবর পেয়ে বাসাটির মালিক সানিসহ ১৫/২০ জন যুবক জড়ো হন বাসায়। এসময় ঐ বাসায় ঢুকা যুবকরা ভেতর থেকে গেইট বন্ধ করে এলোপাতাড়ি ভাবে মারতে থাকে আব্দুল্লাহকে। এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহর গলায় ছুরি চালায় যুবকরা। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর ৩জন যুবক অটো রিক্সায় করে ওসমানী হাসপাতালে রক্তাক্ত অবস্থায় নিয়ে যায় আব্দুল্লাহকে।
আহত অবস্থায় আব্দুল্লাহ অন্তরকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁর বন্ধু আমির হোসেন। তিনি বলেন, ”হামলার কিছুক্ষণ আগেই আব্দুল্লাহ আমার মোবাইলে কল করে বলে, ‘বাসার মালিক এসেছে আমার সাথে কথা বলার জন্য’। এসময় আমাকেও তার বাসায় যেতে বলে। আমি সে অনুযায়ী তার ভাড়াটিয়া বাসায় গিয়ে দেখি একদল যুবক আব্দুল্লাহকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করছে।”
তাদেরকে চিনেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সবাইকে চিনি না তবে দেখলে তাদেরকে চিনতে পারবো বলে জানান তিনি। এসময় আমির বলেন, এই যুবকরা আমাকেও মারতে চেয়েছিল। আমি তাদের সাথে এসেছি বলায় তারা আমাকে আঘাত করেনি। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরে আমি কয়েকজনের সহায়তায় আব্দুল্লাহকে অটোরিক্সায় করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আব্দুল্লাহর স্ত্রী শিউলি আক্তার রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজে সেবিকা হিসাবে কর্মরত আছেন। নিহত আব্দুল্লার ১ ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌসুল আলম বলেন, এ ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি। কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি। মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. রহমত উল্লাহ বলেন, “বাসা ভাড়া সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।”