নবীগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ জুলাই ২০১৬, ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি গ্রামে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার জের ধরে নব-নির্বাচিত ইউপি সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আল আমিন খানকে কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনার প্রতিবাদে দু‘পক্ষের লোকজনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০জন আহত হয়েছে। রোববার সকাল ১১ টায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ৮ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আব্দুল বাতেন খানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এ ঘটনার পর এলাকায় টানাটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, রবিবার সকাল ১১ টার দিকে আল আমীন খান নবীগঞ্জে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যাওয়ার উদেশ্যে কুর্শি বাস ষ্ট্যান্ডে আসা মাত্রই প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। এ ঘটনার খবর পেয়ে আল আমীন খানের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দু‘পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০জন লোক আহত হয়। এতে রনক্ষেত্রে পরিনত হয় কুর্শি গ্রাম।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের গুরুতর আহতরা হল, নব-নির্বাচিত মেম্বার আল আমীন খাঁন (৩০), নজরুল খাঁন (৩৫), গোলেমান খাঁন (৫৫), সুলেমান খাঁন (৫০), জাবরুল খাঁন (২৫), ইমরান খাঁন (২৬), লিয়াকত খাঁন (৩০), হেলাল খাঁন (৩২), দুলাল খাঁন (২৮), ইমন খাঁন (২২), বকুল খাঁন (৩০), লন্ডন প্রবাসী বিএনপি নেতা রানা চৌধুরী (৫৫), তার ভাই মতি চৌধুরী (৫০) ও মহশিন চৌধুরী (৪৮), সবুর মিয়া (৪০), শহিদ উল্লাহ (৭০), কছির মিয়া (৬০)। এদের মধ্যে ৮ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নবীগঞ্জ থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।