হাসপাতালের পিতার মৃত্যু ও পুত্রের কারাদন্ড; দোষীদের শাস্তির দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জুন ২০১৬, ৭:৪০ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ওসমানীনগরে যুবক মকবুলের মুক্তি এবং ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দোষী চিকিৎসকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদে নেমেছে ওসমানীনগরবাসী। শুক্রবার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের শেরপুর সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় প্রায় আধা ঘন্টা সময় মহাসড়ক অবরোধ করে দোষী চিকিৎসকদের শাস্তি ও কারাভোগে থাকা মকবুলের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানায় প্রতিবাদীরা।
ওসমানীনগরবাসীর ব্যানারে সাদিপুর ইউপির অন্তত ১৫ গ্রামের শতাধিক লোক অবরোধ কর্মসূচীতে অংশ নেয়। এর আগে একই দাবিতে গত বুধবার মহাসড়কের দয়ামীরে এবং বৃহস্পতিবার গোয়ালাবাজারে মানববন্ধন কর্মসূচী রচিত হয়।
জানা যায়, ওসমানীনগরের সাদিপুর ইউপির বাসিন্দা আতিকুর রহমান (৫৫) গত ১৬জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শনিবার ভোরে হাপাতালের সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এসময় পিতার মৃত্যু শোকে কাতর নিহতের ছেলে মকবুল আলী চিকিৎসদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগ আনলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তার ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে তারা কর্মবিরতির ঘোষণায় দিয়ে মকবুলের শাস্তি দাবি করেন। শেষ পর্যন্ত ঐদিন দুপুর ১২টার দিকে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে চিকিৎসক লাঞ্চনার দায়ে মকবুলকে তিন মাসের কারাদন্ড দেন আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রেজাউল করিম। হাসপাতালে মৃত পিতার সামন থেকে কারাভোগে প্রেরণ করা হয় তাকে। ঘটনাটি প্রকাশ হলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকসহ এলাকায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে।
মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচী পালনকালে বক্তব্য রাখেন মকবুলের চাচা সাদিকুর রহমান, ভাই জাহাঙ্গীর, শিক্ষক শিহাবুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান আহমদ, তাহির উদ্দিন, সালা উদ্দিন, নোমান আহমদ, ছাদিকুর রহমান, সৈয়দ মুজিব প্রমূখ। বক্তরা নিঃশর্তে মকবুলের মুক্তি এবং দোষী ডাক্তারদের শাস্তির দাবি জানান।