চলতি রমজানে সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় আটজন নিহত
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জুন ২০১৬, ৯:০০ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ: সিলেট জেলায় রমজানের প্রথম আটদিনে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৮ জন। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক।
গত ১৫ জুন বুধবার সিলেট-বিয়ানীবাজারে সড়কের মেওয়া এলাকায় সিএনজি অটোরিকসা ও অটোটেম্পুর মুখোমুখি সংঘর্ষে মাসুক আহমদ নামে এক যাত্রী নিহত হন।
১৪ জুন মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের আসামপাড়া গুচ্ছগ্রাম এলাকায় রাস্তা অতিক্রম করার সময় দ্রুগামী ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হন মাজেদা বেগম (৩৫)।
১৪ জুন মঙ্গলবার সিলেটের জকিগঞ্জে লেগুনাচাপায় আহত ললনী নামের এক বৃদ্ধা ১৫ জুন বুধবার ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। উপজেলার কদমতলা গ্রামের ৬০ বছর বয়সের ললনী রায় নিজ বাড়ির সামনে রাস্তা পারাপারের সময় হিউমেন হোলার (লেগুনা) চাপায় গুরুতর আহত হন। অধিক রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
একইদিন রাতে সিলেট- বিমানবন্দর সড়কের মালনিছড়ায় ট্রাক ও মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নগরীর ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই এলাকার মোটরসাইকেল আরোহী মোঃ খলিল উল্লাহ নিহত হন।
১৩ জুন সিলেট- বোরহান উদ্দিন কানাইঘাট সড়কের মির্জার গ্রামের মন্দিরের পাশে বাস উল্টে আহত হন প্রায় ২০ জন। ৮ জুন বিকেল ৫টায় মহানগরীর শেখঘটে জিতু মিয়ার পয়েন্টে একটি দ্রুতগামী মাইক্রোবাসের চাপায় প্রাণ হারান এক রিকসাচালক। এ সময় আরো ২ জন আহত হন।
একই দিন জকিগঞ্জ-কালিগঞ্জ সড়কের সেনাপতি নামক স্থানে লেগুনা চাপায় জকিগঞ্জ উপজেলার রারাই গ্রামের মৃত মুছব্বির আলীর ছেলে ময়ুর আলী (৫০) নিহত হন। আহত হন শিশু ও মহিলাসহ অন্তত ১০ যাত্রী।
রমজানের প্রথম দিনে ৭ জুন নগরীর টিলাগড়ে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় সিএনজি অটোরিকশার আরোহি খাদিমপাড়া ইউনিয়নের শাহপরাণ নিপোবন আবাসিক এলাকার অরজিত রায় ও তার স্ত্রী সুমিতা দাস নিহত হন। নিহত অরজিত রায় স্কলার্সহোম স্কুল এন্ড কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সুমিতা দাস দক্ষিণ সুরমার মহালক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা।