গণগ্রেফতার ও হয়রানির প্রতিবাদে সিলেটে বিএনপি’র বিক্ষোভ সমাবেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জুন ২০১৬, ৩:৩৯ অপরাহ্ণ
সুরমা ডেস্কঃ বিএনপি কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সারাদেশে সাড়াশি অভিযানের নামে বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে গণগ্রেফতার হয়রানির প্রতিবাদে, গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি শনিবার এক বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদের পরিচালনায় নগরীর রেজিস্টারি মাঠে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতি ছিলেন সিলেট মহানগর বিএনপি সভাপতি নাসিম হোসাইন।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, অবৈধ আওয়ামী সরকারের জনগণের সরকার নয় তাই তারা জনগণকে তাদের প্রতিপক্ষ মনে করে জুলুম নিপীড়ন চালাচ্ছে। কোরআন নাযিলের পবিত্র মাস ও আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাস মাহে রমজানে কথিত সাড়াশি অভিযানের নামে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী ও নিরীহ নাগরিকদের গণগ্রেফতার এবং গ্রেফতার নিয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন। রমজানে নিরীহ রোজাদারদের উপর জুলুম নিপীড়ন কার স্বার্থে জাতি জানতে চায়। গণগ্রেফতার ও পুলিশী হয়রানির কারণে নিরীহ নেতাকর্মীরা পরিবারের সাথে সেহরি ও ইফতার পর্যন্ত করতে পারছেনা। জালিম সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকার নয় বিধায় জনগণের প্রতি এত জুলুম নিপীড়ন চালাচ্ছে। জঙ্গি দমনের নামে কথিত সাড়াশি অভিযান বন্ধ করুন। অবিলম্বে অন্যায়ভাবে আটক দলীয় নেতাকর্মী সহ গ্রেফতারকৃত নিরীহ নাগরিকদের নিঃশর্ত মুক্তি দিন। ইতিহাস সাক্ষী জুলুম নিপীড়ন চালিয়ে অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখা যায়না। গণবিষ্ফোরণেই এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী ও সিলেট মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দীকি।
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাবীবুর রহমান হাবিব, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, মহানগর বিএনপি নেতা এমদাদ হোসেন চৌধুরী, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এ.কে.এম তারেক কালাম, মহানগর বিএনপি নেতা মাহবুব চৌধুরী, কাউন্সিলার সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, মহানগর বিএনপি নেতা মুকুল মোর্শেদ, আব্দুল জব্বার তুতু, মুফতী নেহাল উদ্দীন, সৈয়দ রেজাউল করিম আলো, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সুরমান আলী, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি ভিপি মাহবুবুল হক চৌধুরী, মহানগর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ইউনুছ মিয়া, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল লতিফ খান, বিএনপি নেতা আল মামুন খান, শাহ মাহমুদ আলী, লল্লিক আহমদ চৌধুরী, হাবিব আহমদ চৌধুরী শিলু, শেখ মো: ইলিয়াস আলী, লায়েছ আহমদ, জমির মিয়া, প্রভাষক মঈন উদ্দীন, আব্দুস ছবুর, সালাউদ্দিন রিমন, উজ্জল রঞ্জন চন্দ্র, নুরুল ইসলাম রিমন, ফয়জুর রহমান ফয়েজ, আশরাফ বাহার, আজির উদ্দীন, লুৎফুর রহমান, ছাত্রদল নেতা কাজী মেরাজ, মোশতাক আহমদ, মকসুদুল করিম নোহেল, দেওয়ান আরাফাত চৌধুরী জাকির, আব্দুল মালেক, আলী আমজাদ, মো: মুহিব, আব্দুর রহিম, খোকন আহমদ, সোহেল ইবনে রাজা, সোহেল রানা, হোসেন খান ইমাদ, মিজানুর রহমান মিজান, আব্দুল্লাহ আল হেলাল, আবির দেব, কাউসার হোসেন রকি, শফিউল আযম শিপু, রিপন আহমদ শাহরিয়ার, নুরুল ইসলাম বাচ্চু, আফজাল হোসেন, ফয়সল আহমদ টিপু, নাহিদ আহমদ, ইয়াসিন আহমদ ফাহিম, আল-আমীন ও সাজন আহমদ প্রমুখ।