সাগরে নিখোঁজ বিয়ানীবাজারের একজনের লাশ উদ্ধার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ মে ২০১৯, ৩:৫৯ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি:
ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের বড়উধা মাইজকাপন গ্রামের মৃত মাহমুদ আলীর পুত্র আব্দুল হালিম সুজনের (৩৫) লাশ উদ্ধার করেছে লিবিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। মর্গে থাকা অজ্ঞাত লাশের ছবি প্রকাশ করে নাম পরিচয় জানতে সহযোগিতা কামনা করে লিবিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে একটি ছবি প্রকাশ করে। প্রকাশিত সেই ছবিটি সনাক্ত করে শুক্রবার (২৪ মে) রাত সাড়ে ১১টায় লাশটি সুজনের বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেন নিহত সুজনের বড়ভাই আব্দুল আলিম।
নিহত সুজনের বড়ভাই আব্দুল আলিম জানান, সুজন দেশে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। মা-বাবাহীন পরিবারের চার ভাই ও এক বোনের সংসারের হাল ধরতে ইউরোপ যাবার স্বপ্নে বিভোর ছিল। পার্শ্ববর্তী বড়লেখা উপজেলার গোয়ালি এলাকার শাহিন আহমদ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার এলাকার পারভেজ আহমদ নামের এক দালালের সাথে ৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রায় ১ বছর পুর্বে ইতালি যাবার জন্য চুক্তি হয়েছিল। দীর্ঘদিন লিবিয়াতে অবস্থান করার পর গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) সমুদ্র পথে ইতালি যাবার জন্য ট্রলারে চড়ে। ট্রলারে চড়ার পূর্বে সুজন বাড়িতে সর্বশেষ যোগাযোগ করেছে বলে জানান সুজনের বড়ভাই আব্দুল আলিম। নৌকাডুবির ঘটনা জানার পর থেকে আমার পরিবার-পরিজনদের মধ্যে দুঃসংবাদের শঙ্কা কাজ করছিল।
উল্লেখ্য, গত ১০ মে সকালে ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া সমুদ্র উপকূলে শতাধিক অভিবাসী বহন করা নৌকাটি ডুবে গেলে প্রায় ৬০ জন নিহত হন। স্বপ্নের ইউরোপে পাড়ি জমাতে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় ফেঞ্চুগঞ্জের চার ও গোলাপগঞ্জের দুই তরুণের প্রাণহানি ঘটেছে। এ ঘটনায় বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই ইউনিয়নের কচকট খা গ্রামের সাহেম আহমদ খান নামের আরেক নিখোঁজ ছিলেন। পরবর্তীতে গত ১২ মে সাহেদ আহমদ খান তিউনিসিয়ার একটি সরকারি ক্যাম্প থেকে মুঠোফোনে পরিবারের সাথে কথা বলে সুস্থ রয়েছেন বলেন অবগত করেন। এছাড়াও বিয়ানীবাজার উপজেলার রফিক ও রিপন নামের আরোও দুই তরুণ নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
নৌকাডুবির ঘটনার সিলেটের ৬ যুবক নিহত হয়েছেন। তারা হলেন- বিয়ানীবাজার উপজেলার সেনেরবাজার কটালপুর এলাকার মুহিদপুর গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে আহমদ হোসেন (২৪), একই গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে আব্দুল আজিজ (২৫), সিরাজ মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া (২৪), দিনপুর গ্রামের আফজাল (২৫), সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদের ছোট ভাই, কুলাউড়ার ভুকশিমাইলের আহসান হাবিব শামীম (২৬) এবং গোলাপগঞ্জের শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের কদুপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছোট ছেলে কামরান আহমদ মারুফ।