সিলেটে জামায়াতের পক্ষে ভোট চাইলেন আ’লীগ নেতা!
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ জুন ২০২৫, ২:১৩ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হয়ে জামায়াতের জন্য ভোট চাইলেন নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ নেতা কালা মিয়া। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনার জন্ম নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার ডুপরিরপাড় বতুমারা এলাকায় জামায়াতের পক্ষে ভোট চান কালা মিয়া। এ সময় পাশে বসে ছিলেন সিলেট-৪ (কোম্পানীগঞ্জ-গোয়াইনঘাট-জৈন্তাপুর) আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন।
কালা মিয়া উপজেলার উত্তর রণিখাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য।
কালা মিয়া তার বক্তব্যে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার আবার এ দেশে আইতে হইলে, জন্ম নিতে হইলে, ১০ থেকে ১৫ বছরের আগে সম্ভব নয়। যদি আইত পারে, দীর্ঘ দিন যাইত ওইব ওলান (এভাবে যেতে হবে)’।
তিনি বলেন, ‘যদি পাস না-ও করতে পারে, জামায়াতে ইসলামরে বিরোধী দল তনে হরাইয়া রাখতা পারতা নায়। আর যা দল আছে, নতুন দল নাগরিক পার্টি একটা বাইর করছে, এরা যে কতটা সিট পাইব, পাবলিকেও জানে না তারা জানে। তারার তো ইচ্ছা দেশ দখল করি লাইতা। কিন্তু ইলেকশনে খারাইয়া দেখউক্কা কত ধানে কত চাল বারই।’
তিনি বলেন, ‘আমরাও চাইরাম আমরার সেন্টারে জামায়াতে ভোট পাউক অর্ধেক, আর বিএনপি নেউক অর্ধেক। তারাও যেহেতু নির্যাতিত, আগে পাইছইন না; তারাও পাইত। আমরা চাইরাম সমান সমান ফিফটি ফিফটি করিয়া।’
কালা মিয়া আরও বলেন, ‘এখন আমরার চেয়ারম্যান সাব আইছইন, সামনেদি নির্বাচনে এমপি পদপ্রার্থী ওইবা আল্লাহর যদি হুকুম ওয়। আর তাইন পাস করতা পারইন আমরার এলাকার মানুষ যারা ভোট দিবা; যারা হাটবা-খাটবা তারতো মূল্যায়ন পাইত। যদিন ফেইলও মারইন, তাও মূল্যায়ন পাইত। ফেইল মারলেও তো এমপি। আমরা আশা করছি, আল্লাহ পাস কারাউক্কা। দলে যদি সরকার গঠন না করে; তবে আমরা ইগু আশাবাদী জামায়াতে ইসলাম বিরোধী দল থাকব। এর তাকি বেশি দূরে না যাইয়ার।’
এ বিষয়ে জামায়াত নেতা জয়নাল আবেদীন বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে এক বিয়েতে গিয়েছিলাম। সেখানে বিএনপিরও অনেকে ছিলেন। আমি খাওয়া-দাওয়া শেষে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। এ সময় কেউ একজন কালা মিয়া নামে ব্যক্তিকে বক্তব্য দেওয়ার জন্য বলেন। ভিডিও ভাইরাল হওয়া ব্যক্তিকে আমি আগে থেকে চিনি না। কে বা কারা ভিডিও করে ছেড়ে দিয়েছে।