বিশ্বনাথে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ মে ২০২৫, ৭:৩৬ অপরাহ্ণ
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সিলেটের বিশ্বনাথে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গেল শনিবার রাতে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দশপাইকা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা রোববার (৪ এপ্রিল) রাতে মজাহিদ আলীকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং ৩)। ওই দিন রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মজাহিদ আলীকে (৩৫) তার নিজ গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। গ্রেফতার মজাহিদ আলী উপজেলার দশপাইকা গ্রামের নজিব উল্লাহর ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এক মাস আগে ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরী উপজেলার মীরগাঁও গ্রামের নানার বাড়ি বেড়াতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এক কন্যা সন্তানের জনক মজাহিদ আলীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে প্রেমিকের নাম মজাহিদ আলী থাকলেও কিশোরীর কাছে তিনি নিজেকে জুবায়ের আহমদ বলে পরিচয় দেন। প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার এক মাস পর শনিবার বিশ্বনাথ পৌর শহরের বাসিয়া ব্রিজের উপর থেকে সিএনজি গাড়িতে করে তারা দু’জন ঘুরাঘুরি করেন। পরে সন্ধ্যায় মজাহিদ আলী কিশোরীকে তার বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে রাতে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করেন। পরদিন রোববার সকালে ধর্ষণকারী মজাহিদ কিশোরীকে তার বাড়ির সামনে রেখে চলে আসেন। পরে পরিবারের চাপে পড়ে কিশোরী ঘটনাটি খুলে বলেন।
মামলার এজাহারে ধর্ষণকারীর নাম জুবায়ের উল্লেখ থাকলেও পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে তার আসল নাম মজাহিদ আলী এবং অভিযুক্ত মজাহিদ আলীর প্রথম সংসারে এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।
বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী ধর্ষণ মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মামলার আসামিকে গ্রেফতার করে সোমবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।