ওসমানীনগরে সড়কে গাছের ডালে আতঙ্ক, টানানো হয়েছে লাল পতাকা
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৫৪:৪৮,অপরাহ্ন ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সিলেটের ওসমানীনগর ও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সংযোগ স্থাপনকারী গোয়ালাবাজার খাদিমপুর-সৈয়দপুর সড়ক। এই সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দুই পাশের গাছের ডাল। সড়কের ওপর ঝুঁকে পড়া গাছের ডালের কারণে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এ কারণে সড়কটিতে গাড়ি চালাতে অনাগ্রহী হয়ে গেছেন চালকরা। এতে করে যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
জানা যায়, চলতি মাসে সড়কটির পশ্চিম গোয়ালাবাজার এলাকায় গাছের ডালে ধাক্কা লেগে ঘটা পৃথক তিনটি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন। এর মধ্যে একজনের আঘাত বেশ গুরুতর। দুর্ঘটনা এড়াতে এসব গাছের ঝুঁকিপূর্ণ ডালগুলো অপসারণে সংশ্লিষ্টদের প্রতি কাছে দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ।
ব্যস্ততম এই সড়কটির গোয়ালাবাজার এলাকার পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের সামনে সড়কের ওপর হেলেপড়া একটি গাছের ডালে ধাক্কা লেগে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়া প্রতিদিনই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাসসহ বিভিন্ন পরিবহনের। গোয়ালাবাজার থেকে খাদিমপুর পর্যন্ত ওসমানীনগর সীমার প্রায় সাড়ে ৭ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে কার্পেটিং ঘেঁষে রয়েছে সারিসারি অসংখ্য কড়ই ও মেহগনি গাছ, যার কয়েকটি গাছের ডাল ঝুঁকিপূর্ণভাবে সড়কের ওপর চলে এসেছে। এখানে এমন ঝুঁকিপূর্ণ গাছের সংখ্যা ৩০টি।
এই সড়কে চলাচলকারী খোকন মিয়া নামের এক বাসচালক জানান, গোয়ালাবাজার থেকে আগে অনেক বাস সৈয়দপুরে যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করত। ঝুঁকির কারণে এখন মাত্র ২৪টি বাস চলাচল করছে। এতে যাত্রীদের বেশ অসুবিধা হচ্ছে। এ সময় বাসের ছাদে ও বডিতে গাছের আঘাতের চিহ্নও দেখান তিনি।
এবিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে জানান, বিষয়টি জানার পর সেখানকার ১০৯টি ঝুঁকিপূর্ণ গাছ চিহ্নিত করা হয়েছে। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো কাটার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে সম্পূর্ণ গাছ না কেটে কীভাবে সেগুলো ছেঁটে সমস্যা সমাধান করা যায়।