ওসমানীনগরের শাহ্ আবদুল করিম ব্যাণ্ডের স্বপ্নকথা
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ এপ্রিল ২০১৯, ৬:১০ অপরাহ্ণ
রায়হান আহমদ:
স্বপ্ন। ছোট শব্দের বিশাল ক্যানভাস। সমাজে সবাই স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে। পালকহীন স্বপ্নের মুর্চ্ছনায় যারা এগিয়ে গেছে বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে, কালে কালে তারাই হয়েছেন অনুসরণীয়।
ঠিক তেমন কিছু উদ্যমী তরুণ সিলেটি লোকসঙ্গীতকে সবার মাঝে পৌঁছে দিতে ব্রতী হন। অদম্য ইচ্ছেশক্তি আর আত্মবিশ্বাসকে পূঁজি করে গড়ে তোলেন শাহ্ আবদুল করিম ব্যাণ্ড। ২০১০ সাল থেকে ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে সিলেটি লোকসঙ্গীতের বিকাশে তারা কাজ করছেন সদর্পে।
কথায় আছে, “প্রতিভা আল্লাহ প্রদত্ত, যা বিকশিত হয় চর্চায়।’’ এই চর্চার কাজটিই করে যাচ্ছে শাহ আব্দুল করিম ব্যাণ্ড। নিজের আঙিনা থেকে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে দেশি ও বিদেশি বাদ্যযন্ত্রের সংমিশ্রণে। ছোট্ট পরিসরে শুরুটা করলেও এখন পরিধির বিস্তর ঘটেছে অনেক। যুক্ত হয়েছে নানা অনুসঙ্গ।
ইতোমধ্যে সিলেট বিভাগের প্রতিটা এলাকায় ষ্টেজ শোর মাধ্যমে নিজেদের ধ্যান-ধারণা প্রতিষ্ঠিত করেছেন সগৌরবে। প্রায় সাড়ে ৩ হাজারের মতো স্টেজ শোসহ বিভিন্ন স্বীকৃতি রয়েছে তাদের ঝুলিতে।
কথা হয় শাহ্ আবদুল করিম ব্যাণ্ডের মূল উদ্যোক্তা সজল দত্তের সাথে। তিনি বলেন, মুঠো মুঠো স্বপ্ন পকেটে পুরে আমরা কজন একসময় সমাজে ব্যতিক্রম কিছু করার তাগিদ থেকে এই ব্যাণ্ডদল প্রতিষ্ঠা করি। তারপর থেকে এগিয়ে চলেছে আমাদের উদ্যোগ। আমাদের সাথে এলাকার অনেক খ্যাতিমান শিল্পী যুক্ত রয়েছেন। ভোকাল হিসেবে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন অরূপ, প্রিয়াংকা, রিতা, মিতা, রাকিবুলসহ আরও কয়েকজন। আর বাদ্যযন্ত্রে নিজেদের বাহাদুরীত্বের প্রমাণ দিচ্ছেন টিটু (কি-বোর্ড), সজল (প্যাড), রাসেল (কি-বোর্ড), সাজিদ (বাঁশি), শিপন (গিটার) প্রমুখরা। সার্বক্ষনিক সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন সঙ্গিতপ্রেমী সহিদুল ইসলাম ও ইয়াওর মিয়াসহ একাধিকজন। সকলের প্রচেষ্ঠা ও সঙ্গীতপ্রেমীদের আকুন্ঠ সমর্থন আমাদের প্রেরণা যুগিয়ে চলেছে। সিলেটি গান সারাদেশে পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে রাষ্ট্রিয় বিভিন্ন দিবস পালনের পাশাপাশি আমরা সংগঠন থেকে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তি পালন করে আসছি। আগামীতে আমরা আরো বর্ণাঢ্য ভাবে ব্যাণ্ডদলটি গড়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছি।