ব্রিটেনে এ লেভেল পরীক্ষায় বাঙালি শিক্ষার্থীদের সাফল্য অব্যাহত

গত ১৭ আগস্ট এ লেভেল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়। গত বছরে তুলনায় এবার পাশের হার দশমিক দুই শতাংশ করে হয়েছে ৯৭ দশমিক ৯ শতাংশ। তবে বেড়েছে শীর্ষ গ্রেড অর্জনের হার। এবার ৮ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী এ স্টার পেয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় শূণ্য দশমিক ২ শতাংশ বেশি। এবারের ফলাফলের সবচেয়ে লক্ষণীয় দিক হলো- বিগত ১৭ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম ছেলেরা শীর্ষ গ্রেড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে মেয়েদের ছাড়িয়ে গেছে। ছেলেদের মধ্যে এ স্টার ও এ প্রাপ্তির হার ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে এ হার ২৬ দশমিক ১ শতাংশ। গত বছরও শীর্ষ গ্রেড অর্জনের ক্ষেত্রে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা শূণ্য দশমিক ৩ শতাংশ এগিয়ে ছিল।
মাইকেল গোভ শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর এ লেভেল পরীক্ষায় বেশকিছু পরিবর্তন আনেন। নতুন পাঠ্যক্রমে কোর্সওয়ার্ক কমিয়ে দেয়া হয়। আর তুলে  দেয়া হয় মডিউল পরীক্ষা। এখন দুই বছর পর একবারেই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে বসতে হচ্ছে। পাশাপাশি এ লেভেলে পড়ানো মোট ১৩টি  বিষয়ের সবগুলোতেই পরীক্ষা পদ্ধতি কঠিনতর করা হয়। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ লেভেল পরীক্ষার মান টিকিয়ে রাখতে এমন পরিবর্তন আনা হয়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী এবারই প্রথম এ লেভেল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো।
বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এবারও ভাল ফলাফলের ধারা ধরে রেখেছে। টাওয়ার হ্যামলেটস কলেজ থেকেও উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী চমৎকার ফলাফল করে নামি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে উচ্চতর ডিগ্রী নিতে। মালবারি স্কুল ফর গার্লস-এর ১৭০ জন পরিক্ষার্থীর ৫০ শতাংশের বেশি এ স্টার থেকে বি পেয়েছে। ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পেয়েছে এ এ স্টার থেকে সি এবং ৯৯ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পেয়েছে এ স্টার থেকে ই। এ স্কুলের জেবা আলী একটি এ স্টার এবং দুটি এ পেয়েছে। সে ইউসিএল- তে বায়োকেমিস্টি বিষয়ে পড়বে। বো স্কুলের সানওয়ার হোসেন এবং ইমরান হোসেন ভাল ফলাফল করায় ইউসিএল-এ পড়ার সুযোগ পেয়েছে। এই স্কুলের অপর শিক্ষার্থী আহাদ খান যাচ্ছে কিংস কলেজে। আইল অব ডকস স্কুলের ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছে।  এছাড়া অন্যান্য বাঙালি স্টার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডেভন থেকে যারা চৌধুরী যাচ্ছে অক্সফোর্ডে মেডিসিন বিষয়ে পড়তে। একই বিষয়ে কেমব্রিজে উচ্চতর ডিগ্রী নিতে যাচ্ছে ব্রমলির তানজিয়া চৌধুরী। রেডব্রিজের রাহুল খানও কেমব্রিজে মেডিসিন বিষয়ে পড়াশোনা করবে।