সিলেটে পরকীয়াকাণ্ড : প্রেমিক-প্রেমিকা কারাগারে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ এপ্রিল ২০২১, ১২:৩৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটের জকিগঞ্জে ‘পরকীয়াকাণ্ড’ ও প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা ফারহানা বেগমকে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি জাকারিয়াকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার মৌলভীরচক গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে জকিগঞ্জ থানার পুলিশ।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্ত জাকারিয়াকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এর আগে প্রেমিকা ফারহানাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে কাজলসার ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের নওয়াবাড়িতে ফারহানাকে (৪২) শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করেন তার প্রেমিক জাকারিয়াসহ কয়েকজন। এ মারধরের পেছনে ছিল পরকীয়া প্রেম। ঘটনার দিন মঙ্গলবার প্রেমিক জাকারিয়া বিয়ে করে নববধূ বাড়িতে নিয়ে এলে রাত ৮টার দিকে প্রেমিকা ফারহানা বেগম প্রেমিকের বাড়িতে যান। সেখানে যাওয়ার পর জাকারিয়া ও ফারহানার মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায় হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনাও ঘটে। প্রেমিক জাকারিয়ারসহ তার পরিবারের লোকজন প্রেমিকা ফারহানাকে আটকে শিকল দিয়ে বসতঘরের বারান্দায় বেঁধে রেখে ব্যাপক মারধর করেন।
এ খবর চলে যায় জকিগঞ্জ থানার পুলিশের কাছে। পরে জকিগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জাকারিয়ার ঘরের খুঁটিতে শিকল দিয়ে কোমরে বাঁধা অবস্থায় প্রেমিকা ফরহানাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর জাকারিয়ার ফুপু সালেহা বেগম বাদী হয়ে ফারহানাকে একমাত্র আসামি করে জকিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি উল্লেখ করে বসতঘরে অনধিকার প্রবেশ, মারধর, ভাঙচুর ও ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ করেন। ওই মামলায় পুলিশ ফারহানা বেগমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
অন্যদিকে, ফারহানা বেগমকে শিকল দিয়ে বেঁধে মারধরের ঘটনায় তার স্বামী আফতাব উদ্দিন আতাব বাদী হয়ে জাকারিয়াকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে। এ মামলার প্রধান অভিযুক্ত জাকারিয়া আহমদকেও গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ প্রসঙ্গে জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কাসেম বলেন, ‘জাকারিয়ার ফুপুকে মারধরের অভিযোগে ফারহানাকে একমাত্র আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। আবার জাকারিয়ার বসতঘরে পরকীয়া প্রেমিকা ফারহানা বেগমকে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে ফারহানার স্বামীর দায়েরকৃত মামলাও রেকর্ড হয়েছে। ফারহানাকে নির্যাতনে যারা জড়িত, তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।’