হবিগঞ্জে স্ত্রী নিলুফাকে গলাটিপে হত্যা করেছিল স্বামী
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ মার্চ ২০২০, ৮:৪৬ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
হবিগঞ্জে স্ত্রী হনুফা আক্তারকে (১৫) গলাটিপে হত্যা করে স্বামী বিলাল মিয়া (১৮)। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। এরপরই মা ও ভাবীসহ পুলিশ বিলালকে আটক করে। সোমবার সন্ধ্যায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিলাল মিয়া। সোমবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
তার স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তি (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান, ২ বছর প্রেম করার পর প্রায় ৭ মাস আগে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম এড়ালিয়া গ্রামের সওদাগর মিয়ার মেয়ে হনুফা আক্তারকে (১৫) বিয়ে করে তার চাচাতো ভাই আবদুল হাসিমের ছেলে বিলাল মিয়া (১৮)। প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করার কারণে শ্বশুরবাড়ি থেকে কোনো কিছুই পায়নি। শ্বশুরবাড়িতে যাওয়াও অনেকটা বন্ধ ছিল। এ নিয়ে প্রায়ই তার মা, বোনসহ পরিবারের লোকজন খোটা দিত। এ সব শুনে স্ত্রীর সঙ্গে সে তর্কাতর্কিতে লিপ্ত হতো সে। এ সময় স্ত্রী তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করত। আর এতে অতিষ্ঠ হয়েই বিলাল তার স্ত্রীকে বুধবার রাতে গলাটিপে হত্যার পর বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি মসজিদের পুকুরে লাশ ফেলে দেয়। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
লাশ উদ্ধারের পরই পুলিশ নিহতের স্বামী বিলাল মিয়া, শাশুড়ি চান্দি বেগম ও জা খোদেজা বেগমকে আটক করে। সোমবার সন্ধ্যায় স্বামী বিলাল মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের বাবা সওদাগর মিয়া বাদি হয়ে সদর থানায় ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধারের পরই পরিবারের সদস্যদের আচরণে পুলিশের সন্দেহ হয়। ফলে স্বামী ও শাশুড়িসহ ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্বামী নিজে হত্যাকান্ডের জন্য অনুতপ্ত হয়। সে নিজে থেকেই স্বীকারোক্তি দেয়ার জন্য পুলিশকে জানায়। বাকি আসামিদেরও অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।