সিলেটে লাল গাড়ি ‘লাল বড়ি’সহ মাবরুর আটক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১:০০ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেট মেজরটিলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ এক যুবককে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯। এসময় একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়। আটককৃত যুবকের নাম আহসানুল করিম মাবরুর। তিনি নগরীর টিলাগড় এলাকার শাপলাবাগ ২ নং রোডের বাসিন্দা মো. নাজমুল ইসলামের ছেলে।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় মেজরটিলা (ইসলামপুর) বাজারে অভিযান চালিয়ে একটি লাল রঙের প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে ৩৯০ পিস ইয়াবাসহ মাবরুরকে আটক করা হয়। আটকের পর তাকে শাহপরান (রাহ.) থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সামিউল আলম জানান, আটক মাবরুরের কাছ থেকে ৩৯০ পিস ইয়াবা ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালের ৫ মে নগরীর চৌহাট্টায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নিজ গ্রুপের যুবলীগ নেতা মাহবুব আলম মিঠুকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে মাবরুর ও তার সহযোগিরা। সেই মামলায় কিছুদিন জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান মাবরুর। জেল থেকে বেরিয়ে শুরু করেন মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি।
জানা গেছে, মাবরুরের মূল বাড়ি শাহপরাণ থানাধীন লালখাটঙ্গি গ্রামে। এক সময় ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করলেও বর্তমানে যুবলীগের সাথে যুক্ত মাবরুর। এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তিনি করেননি। গাড়ি চুরি থেকে শুরু করে ছিনতাই পর্যন্ত। কিশোর বয়সে মোটরসাইকেল চুরির মাধ্যমে অপরাধ জগতে হাতেখড়ি তার। মোটর সাইকেল চুরি করতে গিয়ে বহুবার বহুখানে ধরা পড়ে মারধর খেয়েছেন মাবরুর। বিএনপি জোট সরকারের আমলে যোগ দেন ছাত্রশিবিরের রাজনীতিতে। সমর্থক, কর্মী থেকে পদোন্নতি পেয়ে শিবিরের সাথী পদ পেয়েছিলেন মাবরুর। তার অপকর্মের কারণে শিবির থেকে বিতাড়িত হন। এরপর যোগ দেন ছাত্রদলের জামান গ্রæপে। জামান গ্রুপের ছত্রছায়ায় চালিয়ে যেতে থাকেন তার অপকর্ম। এক সময় অস্ত্র সহ র্যাবের হাতে ধরা পড়ে মাবরুর। জেল থেকে বেরিয়ে ছাত্রলীগে নাম লেখান তিনি। হয়ে উঠেন জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতার ঘনিষ্ট বন্ধু। এরপর ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে শুরু করেন ছিনতাই ও চাঁদাবাজি। মাবরুর টিলাগড়ের পান দোকান থেকেও চাঁদাবাজি করতেন বলে জানা গেছে। অছাত্র, ছিনতাইকারীদের নিয়ে তিনি নিজেই তৈরি করেছেন এক দূর্র্ধর্ষ বাহিনী। সেই বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিলেন মাবরুর।