শ্রীমঙ্গলে প্রভাবশালী কর্তৃক ছড়া দখল করে দোকানকোটা নির্মাণ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ জানুয়ারি ২০২০, ৬:৩৮ অপরাহ্ণ
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে কতিপয় প্রভাবশালী কর্তৃক সরকারি পাহাড়ি ছড়া অবৈধ দখল করে দোকানকোটা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে।জানা গেছে উপজেলার ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে অবস্থিত সকিনা সিএনজি পাম্প সংলগ্ন ফুলছড়া ব্রিজের সম্মুখ পাশে ফুলছড়া নামক ছড়ায় মাটি ভরাট করে পাকা স্থাপনা গড়ে তুলে অবৈধভাবে দোকানকোটা নির্মাণ করে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী।এনিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করে।এ ব্যাপারে চলতি মাসের ২২ জানুয়ারী এলাকাবাসী স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনে অভিযোগ করে প্রাকৃতিক এই ছড়া রক্ষায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন,আশিদ্রোন গ্রামের মৃত আসলাম মিয়ার ছেলে মুর্শেদ,দুরুদ মিয়ার ছেলে নুরুল ইসলাম,আইয়ুব আলী ও আমানতপুর গ্রামের রজব আলীর ছেলে শাহ আহমেদ অবৈধভাবে ছড়ার মধ্যে মাটি ভরাট করে পাকা স্থাপনা করে দোকানকোটা নির্মাণ করেছেন।অভিযোগে বলা হয় ফুলছড়াতে মাটি ভরাটের ফলে ছড়া সংকোচিত হয়ে ভাটিতে হাইল হাওরে পানি প্রবাহে বাঁধাগ্রস্থ হয়ে বর্ষা মৌসুমে উজানে দক্ষিণ উত্তরসুর ও ইসলামপুর এলাকায় বন্যা দেখা দেয়।ফলে ফসলের অনেক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।এছাড়াও মহাসড়কের পাশে অপরিকল্পিতভাবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার ফলে গ্রামের আশিদ্রোন,ইসলামপুর ও কালিঘাট এলাকায় প্রতিদিন চলাচলরত কয়েকশ যানবাহন দিক পরিবর্তন করতে বাঁধার সম্মুখিন হচ্ছে।এতে এসব দোকানকোটার জন্য অপর প্রান্ত না দেখতে পাওয়ায় প্রায়ই যানবাহনের মুখোমুখি দূর্ঘটনা ঘটছে এবং লোকজন হতাহতের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইসলামপুর জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আমির উদ্দিন জানান, অবৈধভাবে দখলদাররা জনসাধার চলাচলের রাস্তা ও ছড়া দখল করে দোকানকোটা নির্মাণের ফলে এলাকাবাসী অনেক দূর্ভোগে পড়েছেন এবং এনিয়ে জনসাধারণের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।তিনি এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রশাসনের নিকট দাবী জানান।
সরজমিনে ঘটনাস্থলে দেখা যায় সখিনা সিএনজি গ্যাস পাম্পের মাত্র ৫০ ফুট দূরত্বে এসব অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে।ফলে উম্মুক্ত স্থানে ধুমপানের কারনে গ্যাস পাম্পে যেকোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। এসময় দেখা যায় পূর্বের দোকানকোটার পাশে ছড়া দখল করে আরও নতুন করে একটি দোকানকোটা নির্মাণ করছেন মুর্শেদ মিয়া নামে এক ব্যক্তি।তিনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবী করেন। আরেক দখলদার নুরুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হয় কিভাবে এখানে দোকানকোটা গড়ে তুললেন?উত্তরে জানান আশিদ্রোন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহর তরপদার তাদের এখানে বসিয়েছেন।জানতে চাইলে আশিদ্রোন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহর তরপদার এই প্রতিবেদককে জানান ‘তারা গরীব মানুষ।তাই আমি অস্থায়ীভাবে বসিয়েছি’।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুর রহমান মামুন এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রাপ্তীর কথা নিশ্চিত করে জানান ‘ইউনিও স্যার ছুটিতে আছেন,আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।স্যার আসলে করণীয় নির্ধারণ করা হবে’।