শ্রেণিকক্ষ ও বেঞ্চের অভাবে শ্রীমঙ্গলের একটি বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যহত
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ আগস্ট ২০১৯, ৬:২৪ অপরাহ্ণ
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:
শ্রীমঙ্গলের জাগছড়া চা–বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ ও বেঞ্চের অভাবে শিক্ষার্থীদের মাটিতে চট বিছিয়ে পাঠদান করতে হচ্ছে। পর্যাপ্ত শ্রেণি কক্ষের অভাবে স্কুল পার্শ্ববর্তী চা–বাগানের হাসপাতালের দুটি কক্ষেও চলছে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। সেখানে নিরাপদ খাওয়ার পানি, উন্নত স্যানিটেশন ও অবকাঠামোব্যবস্থার যেন কিছুই নেই।
সরজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষ ও আসনসংকটের কারণে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সিমেন্টের বস্তার তৈরি চট বিছিয়ে শিক্ষার্থী বসানো হয়েছে। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়াচ্ছেন এক শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের একচালার দুটি কক্ষ। এক কক্ষে কিছু বেঞ্চ রয়েছে। অন্যটিতে চট বিছানো। বিদ্যালয় লাগোয়া চা–বাগানের হাসপাতাল। সেখানে দুটি ছোট কক্ষ বিদ্যালয়ের জন্য নেওয়া হয়েছে। একটি শ্রেণিকক্ষ ও অন্যটি বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ। শ্রেণিকক্ষ কিছুটা মানানসই হলেও অফিস কক্ষের অবস্থা খুবই খারাপ।
২০১৪ সালে বিদ্যালয়টি সরকারি করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো পাকা ভবন নির্মাণ হয়নি। দো-চালা টিনের ঘরের তিনটি কক্ষে দুই শিফটে প্রায় ৩শ’ শিক্ষার্থীর পাঠদান চলে। সকালের শিফটে দুটি কক্ষে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠদান এবং পরবর্তী শিফটে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান করা হয়।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অঞ্জলী গোয়ালা বলেন, শ্রেণিকক্ষ ও বাচ্চাদের বসার বেঞ্চ পর্যাপ্ত না থাকায় তারা গাদাগাদি করে মাটিতে চট বিছিয়ে বসে। এভাবে বাচ্চাদের পাঠদানে মনোযোগ থাকে না। শ্রেণিকক্ষে জায়গা না হলে স্কুলের উঠোনে চট বিছিয়ে ক্লাস নিতে হয়। বৃষ্টির দিনে কিংবা প্রচণ্ড রোদের সময় বাইরেও ক্লাস নেওয়া যায় না। বিদ্যালয়ে নিরাপদ খাওয়ার পানি, উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। এসব বিষয় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে কিছুদিন আগে বিদ্যালয়ের ছাদ তৈরি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ইতিমধ্যেই উপজেলার চা–বাগানের ২০টি বিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। জাগছড়া চা–বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম প্রস্তাব করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।