মৌলভীবাজারে মৃত্যুর ১৪দিন পর কবর থেকে স্কুল ছাত্রীর লাশ উত্তোলন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জুলাই ২০১৯, ৫:৩৬ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচালে স্কুলছাত্রী কুলসুমা বেগম তসলিমার (১৮) মৃত্যু ১৪দিন পর কবর থেকে তার লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নেছার আহমদের উপস্থিতিতে কবর থেকে ওই ছাত্রীর লাশ উত্তোলন করা হয়।
জানা যায়, উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের মহলাল (রফিনগর) গ্রামের জহুর উদ্দিনের মেয়ে, বরমচাল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী তসলিমা চলতি মাসের ৪ জুলাই মারা যায়। তসলিমার মৃত্যু নিয়ে এলাকায় নানা প্রশ্ন দেয়। প্রেমঘটিত কারণে পরিবারের লোকজনের নির্যাতনে তসলিমা মারা যেতে পারেন বলে ধারণা স্থানীয়দের। তবে পরিবারের সদস্যরা একে স্বাভাবিক মৃত্যু দাবি করে ময়না তদন্ত ছাড়াই তসলিমার দাফন করেন।
লাশ দাফনের ৮ দিন পর গত ১২ জুলাই কুলাউড়া থানা পুলিশ মৌলভীবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে ময়না তদন্তের জন্য লাশ উত্তোলনের লিখিত আবেদন করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে মৃত্যুর ১৫ দিন পর বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ মৌলভীবাজার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নেছার আহমদের উপস্থিতিতে তসলিমার লাশ উত্তোলন করা হয়।
কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, স্কুলছাত্রী তসলিমার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে ময়না তদন্তের জন্য তসলিমার লাশ উত্তোলনের পর মৌলভীবাজার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, কুলাউড়া উপজেলার লিটন দাস (২৫) নামের কাঠমিস্ত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো তসলিমার। তসলিমাকে পেতে মাস ছয়েক পূর্বে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন লিটন দাস। এরপর থেকে তার নাম হয় আব্দুল আজিজ। আব্দুল আজিজ কুলাউড়ার বরমচাল ইউনিয়নের টিকরা গ্রামের বাসিন্দা। আর একই ইউনিয়নের মহলাল (রফিনগর) গ্রামের জহুর উদ্দিনের মেয়ে কুলসুমা বেগম তসলিমা উপজেলার বরমচাল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। আব্দুল আজিজের সাথে বিয়েতে সম্মতি ছিলো না তসলিমার পরিবারের।