নবীগঞ্জে স্কুল ছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ ও হত্যা : ১৭বছর পর রায়
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ জুলাই ২০১৯, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে দলবেঁধে ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রী ফাতেহা আক্তার হত্যা মামলায় বাদীর স্বামী ও নিহত ফাতেমার দুলাভাই হ চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে প্রায় ১৭ বছর পর হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ হালিম উদ্দিন চৌধুরী আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নবীগঞ্জ উপজেলার বাশডর গ্রামের বাসিন্দা ও মামলার বাদীর স্বামী এবং নিহত ফাতেমার দুলাভাই সাইফুল ইসলাম (৩২), নবীগঞ্জ পৌরসভার হরিপুর এলাকার মৃত আব্দুন নুরের ছেলে আব্দুল মন্নাফ (৫২), একই এলাকার বজলা মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া (৩৫) ও আনমনু গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে রাজু আহমেদ (৪৫)। আদালত স‚ত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ পৌরসভার হরিপুর এলাকার বাসিন্দা আরব আলীর মেয়ে রৌশন আর সঙ্গে বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতো সাইফুল ইসলাম। ২০০২সালের ২০ আগস্ট রাত ৯টার দিকে রৌশন আরার বোন স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ফাতেহা আক্তারকে ফুসলিয়ে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যান সাইফুল ও তার সহযোগীরা। পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী নদীতে একটি নৌকায় নিয়ে গণধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরদিন বিকেলে পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর ২৬ আগস্ট রৌশন আরা বাদী হয়ে এ ঘটনায় তার স্বামী সাইফুলসহ ৬ জনকে আসামি করে নবীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নবীগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন ২০০৩ সালের ১৯ জুন ৬ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। অবশেষে দীর্ঘ ১৭ বছর পর ১২ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচলনা করেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম মোল্লা মাসুম এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট নূরুল আমীন চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট রোকসানা পারভীন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আবু হাশিম মোল্লা মাসুম বলেন, এ রায়ে বাদী ও তার পরিবারের লোকজন সস্তুষ্ট। দীর্ঘদিন পর হলেও রায় হওয়ায় খুশি তারা। রায়ে অভিযুক্ত দুইজনকে খলাস দেওয়া হয়েছে। এরা হলেন আলাল মিয়া ও খালেক মিয়া।