পানিবন্দি ওসমানীনগর-বালাগঞ্জের লাখো মানুষ, নেই ত্রাণ সহায়তা
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জুন ২০১৭, ১:২২ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
উজানের ঢলের তোড়, টানা বর্ষণ ও কুশিয়ারার ডাইক ভেঙ্গে পানিবন্দি অবস্থায় আছেন ওসমানীনগর- বালাগঞ্জের লাখো মানুষ। এ দুই উপজেলার নিন্মাঞ্চলসহ প্লাবিত হয়েছে শতাধিক গ্রাম। অকাল বন্যায় হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ওই এলাকার বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আউশ ধান ও বিভিন্ন জাতের সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। ঈদের আগে এই বন্যায় ওই সব এলাকায় ত্রাণ সংকট দেখা দিয়েছে। লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে থাকলেও চোখে পড়ছে না ত্রান কার্যক্রম। বন্যার্ত এলাকাগুলোতে ত্রাণের জন্য হাহাকার চলছে।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় ব্যক্তি সূত্র সুরমানিউজকে জানায়, ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জ উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে । টানা বৃষ্টিতে ওসমানীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তাছাড়া কুশিয়ারা তীরবর্তী লামা তাজপুর, পূর্ব-তাজপুর, দক্ষিণ তাজপুর ও চরগাঁওসহ সুন্দিকলা, পশ্চিম সুন্দিকলা, সৈয়দপুর, লামাতাজ পুর, সুরিকোন, নোয়াগাঁও, ভেরারচর, মোকামপুর, ইসলামপুর, সম্মানপুর, দক্ষিণ কালনীচর, রহমতপুর ও চাতল পাড়সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট।
বালাগঞ্জ উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস, কৃষি অফিসসহ একাধিক সরকারি কার্যালয়ের সামনে হাঁটুসমান পানি হয়েছে। জনগণ চলাচলের জন্য রাস্তায় বাশের সাকোর ব্যবস্থা করছে উপজেলা প্রশাসন। নির্মানাধীন বালাগঞ্জ-খসরুপুর সড়ক নতুন করে ডুবে গেছে। প্লাবিত হয়েছে রাধাকোনা, করছারপাড়, কালিয়ারগাও, হুসনপুর , বিতুনীয়া, কাজীপুর, সত্যপুর কুশারগ্রাম, রুপিয়া, প্রসন্নপুর,গুড়াপুর, রহমতপুর, বোয়ালজুড়ের মাকড়সী, সিংড়াকোনা , মনোহর পুর , সরমানন্দপুর, সোনাপুর , রুপাপুর. পূর্ব পৈলনপুরের এৗয়া, পৈলনপুর, রসিদপুর, বঙ্গপুর ও হামছাপুর, পশ্চিমগৌরিপুরের তেঘরিয়া, লোহামুড়া, একাচিকন, শ্রীনাথপুর সহ ৪০টি গ্রাম । জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদরা প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করছেন।
ওসমানীনগরের ইউএনও মো. মুনিরুজ্জামান জানান, বন্যার্তদের সহায়তার জন্য সরকারিভাবে ছয় মেট্রিক টন চাল এসেছে। বালাগঞ্জের ইউএনও প্রদীপ সিংহ বলেন, পাঁচ মেট্রিক টন চাল সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।