ম্যানচেস্টারে বোমা হামলা এবং একজন মুসলমানের সঙ্কট
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ মে ২০১৭, ১১:২৬ অপরাহ্ণ
শেখ আদনান ফাহাদ: খুব সকালে এক ব্রিটিশ ফেইসবুক বন্ধুর পোস্ট দেখে জানতে পারলাম ম্যানচেস্টার এ এক ভয়াবহ বোমা হামলায় ১৯ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়ছিল। মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। প্রায় একই সময় দেখলাম, থাইল্যান্ডেও একটা হামলা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ যেন এখন গ্লোবালাইজড গ্লোব এর সবেচেয়ে প্রকট বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষগুলো গান শুনতে জড়ো হয়েছিল ম্যানচেস্টার এ। লাশ হয়ে, গুরুতর জখম হয়ে, মনে প্রশান্তির বদলে আতংক নিয়ে হাসপাতালে কিংবা ঘরে ফিরে গেছে। আমরা এত দূরে থেকে আর কী করতে পারি? ফেইসবুকে নিন্দা জানিয়ে একটা পোস্ট দিলাম। মৃতের মধ্যে শিশুও রয়েছে। কত সহজে মানুষ মরে যায় ভাবলে ভয় লাগে। তাও আবার যদি হয় পশ্চিমা উন্নত বিশ্বে তাহলে আমাদের একটু বেশিই মন খারাপ হয়। সিরিয়া, আফগানিস্তানে, ইরাকে প্রায় প্রতিদিনই শিশু মারা যায়। আমার তেমন কিছু মনে হয়না। সেখানে সবাই মরবে, হাত পা, চোখ হারিয়ে পঙ্গু হবে এটাই আমার কাছে স্বাভাবিক মনে হয় এখন।
যাইহোক, ম্যানচেস্টার এ ভয়াবহ বোমা হামলা নিয়ে দেয়া আমার ফেইসবুক পোস্টে অনেকেই লাইক এবং অন্যান্য এক্সপ্রেশন দিচ্ছিলেন। কেউ খুব রেগে আছেন, কেউ হতাহতের প্রতি ভালোবাসা দেখাচ্ছেন। আমার পোস্টের স্পর্শে আসা ‘বন্ধু’দের মধ্যে একজন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের। ভারতের বাঙালিদের প্রতি আমার বিশেষ অনুভূতি কাজ করে। ইতিহাসে অনেক চড়াই-উৎরাই পার হতে হয়েছে আমাদের। পক্ষে-বিপক্ষে যায় এমন সব ইতিহাস আছে আমাদের। ফেইসবুকের কল্যাণে নানা কিসিমের, নানা দেশের মানুষের সাথে আমার যোগাযোগ। আমার ভালো লাগে। অনেক কিছু জানা যায়, বোঝা যায়। পশ্চিমবঙ্গের এই লোক যেমন আমাকে আজ নতুন করে ভাবতে বাধ্য করলেন। আমার পোস্টে মন্তব্য করা সবাই ম্যানচেস্টারে হামলার বিষয়ে নিন্দা জানালেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের এই লোক হামলার নিন্দা নয়, নিন্দা জানালেন উনি ‘ইসলাম’কে! সম্ভবত আমার নাম দেখে তিনি বুঝতে পারেন আমি মুসলমান।
ম্যানচেস্টার এ হামলার সুযোগে ‘‘ইসলাম’ও সারাবিশ্বের মুসলমানদের বিষয়ে এমন সব কথা বললেন, তাতে আমার দিনটাই মাটি হয়ে গেল। সারাদিন তার সাথে ফেইসবুকে তর্ক, বিতর্ক করলাম। পরে দেখলাম, প্রোফাইলে পশ্চিমবঙ্গের এই লোকটির ছবি নাই। ছবি একটা আছে, তবে সেটি ভারতীয় তামিল এক তারকার। তামিল নায়ক ‘আই লাভ কাউ’ লিখে হাসছেন। বুঝে নিলাম যা বোঝার। আমি বুঝতে পারলাম পশ্চিমবঙ্গের এই লোক সেসব মানুষদের মধ্যে পড়েন, যারা জগতের সকল মুসলমানের বিলুপ্তি কামনা করেন। আমিও তো ধর্মের পরিচয়ে একজন মুসলমান। জন্মসূত্রে আমার ধর্ম পরিচয়, আমি মুসলমান। বাঙালি মুসলমান আমি। বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় এক কথা সাহিত্যিক তার এক উপন্যাসে ফুটবল ম্যাচের বর্ণনা দিতে গিয়ে লিখেছিলেন-বাঙালি আর মুসলমানদের মধ্যে ফুটবল খেলা হচ্ছে! ‘মুসলমান বাঙালি হতে পারবেনা’, অথবা ‘মুসলমান আবার বাঙালি হয় কীভাবে’ জাতীয় পুরনো সামাজিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক মনোভাব যে পশ্চিমবঙ্গের একটা অংশের মানুষের মধ্যে এখনো কতটা প্রবল, তা হারে হারে টের পেলাম আজ। জাহাঙ্গীরনগরের ইংরেজি বিভাগের আমার এক সহকর্মী মাস কয়েক আগে পশ্চিমবঙ্গ সফরে গিয়ে এক ভারতীয় হিন্দু লোকের কাছে এমন একটা প্রশ্ন শুনেছিলেন, যা তিনি কল্পনাও করেননি। আমার সহকর্মীর নাম শুনে ভারতীয় সেই লোক তাকে প্রশ্ন করেছিলেন-‘এই নামের লোক আবার বাঙালি হয় কীভাবে?
মুসলমানদের সম্পর্কে আজ পৃথিবীর অন্যান্য ধর্মের মানুষের মনে এতটাই নেতিবাচক ধারণা জন্মেছে যে, একটা সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানাতে পারবনা আমি? যদিও সব মানুষ একইভাবে হয়তো চিন্তা করেনা। কিন্তু ভয়ংকর সব চিন্তা যে আছে সেটিতো সত্য। ভারত আমাদের পাশের রাষ্ট্র। ১৯৪৭ সালে ভারতীয় আর পাকিস্তানী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী মিলে আমাদের বাঙালিদের এক রাষ্ট্র হতে দেয়নি। কলকাতা, দার্জিলিং, আসামের কাছাড়, করিমগঞ্জ আমাদের হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাম্প্রদায়িক ভারত আর পাকিস্তান মিলে বাঙালিদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র হতে দেয়নি। এই ভারত আবার ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সহযোগী শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। সোভিয়েত ইউনিয়ন আর ভারত-এই দুই বিদেশী রাষ্ট্রের সহায়তা আর আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা, সংগঠকদের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকায় আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র পেয়েছি। আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, ভারত পেয়েছে দক্ষিণ এশিয়ায় তার সবচেয়ে নিরাপদ, বন্ধু রাষ্ট্র। ভারতের জন্ম হয়েছিল ধর্মের ভিত্তিতে আর আমাদের জন্ম হয়েছে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে।
১৯৫২ সালে আমাদের পূর্ব-পুরুষরাই বাংলা ভাষার মর্যাদা সমুন্নত রাখতে জীবন বিসর্জন দিয়েছে। পৃথিবীতে বাংলাদেশই বাঙ্গালির একমাত্র স্বাধীন রাষ্ট্র। ভারতের বাঙালিরা ভাষাকে, বাঙালিত্বকে প্রাধান্য দিলে ১৯৪৭ সালেই আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেতাম। গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টার এর রিপোর্ট অনুযায়ী সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিবেচনায় ভারত বিশ্বের চতুর্থ রাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট আর জাতিসংঘ প্রণীত নানাবিধ রিপোর্ট এবং তথ্য-উপাত্তসহ ১৮টি প্রধান সোর্স এর উপর ভিত্তি করে নিয়ে পিউ রিসার্চ সেন্টার ২০০৯ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বিশ্বের ১৯৮টি রাষ্ট্রের উপর সমীক্ষা চালিয়ে এ রিপোর্ট প্রদান করে আসছে। সাম্প্রদায়িক সহিংসতার রেকর্ডে ভারতের উপর আছে শুধু সিরিয়া, নাইজেরিয়া এবং ইরাক। বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারত যেন নিছক একটা ‘হিন্দু’ রাষ্ট্রের রূপ নিয়েছে। গরুর মাংস খেলে, ফ্রিজে রাখলে বা গাড়িতে করে গরু নিয়ে গেলেই মানুষ মেরে ফেলা হচ্ছে, এমন একটা রাষ্ট্রের কেউ যখন বাঙালি মুসলমানদের বাঙালিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে তখন মেজাজ ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। রুপম ভট্টাচার্য নামের পশ্চিমবঙ্গের সেই লোক আমাকে বলেছে, ‘তোমরা পৌষ পার্বণ করো? ১২ মাসে ১৩ পার্বণ করো? তোমরা নবান্ন করো? দুর্গাপুজো করো? বাংলা ভাষায় নাম রাখো? তাহলে তোমরা বাঙালি হলে আরশোলাও পাখি’! একটা কমেন্ট শুধু এখানে দিলাম। ইসলাম নিয়ে, বাঙালি মুসলমান নিয়ে এমন সব কথা বলেছে, এখানে লেখার মধ্যে উল্লেখ করতে সাহস পাচ্ছিনা। যাইহোক, রুপম ভট্টাচার্যের কথার জবাব দিতে এখানে লিখতে বসিনি।
বিশ্বের সবদেশেই সন্ত্রাসী আছে, চরমপন্থী আছে। কেউ করে ধর্মের নামে, কেউ করে রাজনৈতিক আদর্শের নামে। সব ধর্মের নামেই বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ সংঘটিত হয়। কিন্তু ‘সন্ত্রাসবাদ’ শব্দটা শুধু মুসলমানদের সাথে ট্যাগ করে দেয়া হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। কোনো সন্ত্রাসী হামলায় যখন মুসলিম নামধারী কেউ জড়িত থাকেন, তখন পশ্চিমা মিডিয়া এবং তাদের দেখাদেখি আমাদের এবং অন্যান্য দেশের মিডিয়া তাকে সন্ত্রাসবাদ বলে পরিচিত করে। কিন্তু অন্য ধর্মের কেউ যখন একই কাজ করে তখন আর ‘সন্ত্রাসী হামলা’ শব্দটা ব্যবহার করা হয়না। তখন অন্য কোন শব্দ ব্যবহার করে নিউজ করা হয়। আবার নিউজ করা হলেও কাভারেজ খুব কম পায়। মুসলিম হলে লেখা হয় ‘সন্ত্রাসী’, ‘ইসলামি সন্ত্রাসী’, ‘মুসলিম সন্ত্রাসী’ ইত্যাদি শব্দ। অন্য ধর্মের হলে লেখা হয় বন্দুকধারী, শুটার ইত্যাদি শব্দ। তাদের বেলায় কখনো ধর্মকে টেনে আনা হয়না। হামলাকারীর মুসলিম হলে বলা হয় সন্ত্রাসী হামলা, আর অন্য ধর্মের হলে বলা হয় সহিংস হামলা। এক্ষেত্রে বড় উদাহরণ হতে পারে, কিছুদিন পরপরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গুলির ঘটনায় ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক মারা যাওয়ার ঘটনাগুলো। কখনোই এসব ঘটনায় পশ্চিমা মিডিয়া এবং তাদের অন্ধ অনুসারীরা ‘সন্ত্রাসী হামলা’ শব্দযুগল ব্যবহার করবেনা। হামলাকারীকেও সন্ত্রাসী বলা হবেনা। এ ধরনের সংবাদের ফলোআপও করা হয়না। ছিনতাই, ধর্ষণ, খুন ইত্যাদি সংবাদও আমরা সেসব দেশের খুব একটা পাইনা। কারণ এপি, এএফপি, বিবিসি, সিএনএন এর পলিসিই হল নিজেদের মহানুভবতা, অগ্রসরতা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, সংস্কৃতির বড়ত্ব প্রমাণিত হবে এমন সংবাদ প্রচার করা। আর রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং অর্থনৈতিক প্রতিপক্ষের বদনাম করা। এভাবেই আমাদের মনোজগতে তাদের আধিপত্য কাজ করে। ২০১৫ সালের ৫ জুন তারিখে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার এক রিপোর্ট থেকেই আমরা জানতে পারি, সে বছরের জানুয়ারি ১ তারিখ থেকে মে ৩১ পর্যন্ত শুধুমাত্র নিউইয়র্ক শহরে ৫৪০ টি ধর্ষণ ধর্ষণের ঘটনা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। সে বছরের উল্লেখিত সময়ের ভেতরে বাংলাদেশের পত্রিকা খুঁজে বের করে দেখুন, নিউইয়র্কের পাঁচশ’রও বেশী ধর্ষণের ঘটনার কয়টা সংবাদ ছাপা হয়েছে? কারণ এই সংবাদ এপি দেয়নি। একটা উদাহরণ মাত্র দিলাম।
যাইহোক, মূল প্রসঙ্গে আসি। মিয়ানমারে বৌদ্ধ ধর্মের লোকজন আর সেনাবাহিনী-পুলিশের দ্বারা রোহিঙ্গা মুসলিম নিধনের ঘটনায় কোনো মিডিয়া ‘বৌদ্ধ সন্ত্রাসী’ কিংবা ‘বৌদ্ধ সন্ত্রাসবাদ’ জাতীয় শব্দ ব্যবহার করেছে? একবার টাইম ম্যাগাজিন কাভার পেজে এক সন্ত্রাসী ভিক্ষুর ছবি দিয়ে লিখেছিল ‘বৌদ্ধ সন্ত্রাসবাদ’। পরে চাপে পড়ে আর দ্বিতীয়বার ব্যবহার করার সাহস পায়নি। এত সুন্দর একটা ধর্মের পরিচয় সন্ত্রাস দিয়ে হোক, সেটা আমরাও চাইনা। ২০১১ সালে নরওয়েতে ব্রেইভিক নামের এক সন্ত্রাসীর হামলার কথা মনে আছে? পত্রিকাগুলো বের করে দেখুন, ব্রেইভিককে কীভাবে বর্ণনা করা হয়েছিল। অবধারিতভাবেই তাকে ‘খ্রিস্টান সন্ত্রাসী’ বলা হয়নি। একজন খ্রিস্টান সন্তাসী হবে কেন? সে শুধু একটা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল। সে যে সন্ত্রাসী ছিলনা, সেটা প্রমাণ করতে তাকে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বলেও প্রচার করা হয়েছে। পাশের দেশ ভারতে মাওবাদী সন্তাসী হামলায় কয়েকদিন পরপরই আর্মি, পুলিশ মারা যায়। মাওবাদীদের মধ্যে কতজন মুসলিম আছেন? কখনো দেখেছেন, এই হামলাকারীদের ‘হিন্দু সন্ত্রাসী’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে?
ধর্মীয়, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কারণে ইসলাম এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে সিস্টেমেটিক অপপ্রচার চলছে। এক্ষেত্রে ফিল্টার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে মুসলিম পরিচয়ধারী যেকোনো সন্ত্রাসীর নাম, অবয়ব ও ছবি। বাচ্চাদের একটা সন্ত্রাসীর ছবি আঁকতে দিয়ে দেখুন। একজন টুপি, দাড়িওয়ালা লোকের ছবি আঁকার সম্ভাবনা সবেচেয়ে বেশী। কারণ সন্ত্রাসী হিসেবে শুধু টুপি-দাড়িওয়ালাদের তুলে ধরা হচ্ছে। ভারতের সিনেমায় দেখবেন, সন্ত্রাসীরা নামাজ পড়ে, চোখে সুরমা দেয়, গলায় স্কার্ফ ব্যবহার করে। এই অপপ্রচারে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে পশ্চিমাদেরই তৈরি নানা কনসেপ্ট। এমনই একটা কনসেপ্ট হল আইএস। আগে ছিল আল-কায়েদা। এখন আর আল-কায়েদার কথা শোনা যায়না। কারণ নতুন ধারণা এসেছে বিশ্বে। আইএস কাদের তৈরি, কারা এদের অস্ত্র দেয়? আইএসের অফিস কোথায়, আইএসের সন্ত্রাসীরা সবসময় মুখ ঢেকে রাখে কেন? আমাদের দেশে আইএস আছে প্রমাণ করার জন্য পশ্চিমা শক্তিগুলো উঠে পড়ে লেগেছিল। কিন্তু সরকারের শক্ত ভুমিকার জন্য চাপিয়ে দিতে পারেনি। সরকার এক হাতে স্থানীয় জঙ্গিদের সামলাচ্ছে, আবার আইএস আছে মর্মে অভিযোগ অস্বীকার করছে। এর কারণ হল, আইএস আছে প্রমাণ করা গেলে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা শক্তি এদেশে খবরদারি করতে পারবে। ইহুদি নারী রিটা কার্টজ পরিচালিত সাইট ইন্টিলিজেন্টস সবসময় কীভাবে আইএসের নিউজ পায় সেটা নিয়ে সবাই একটু ভাববেন।
আরেকটা প্রশ্ন সকলের কাছে, পাকিস্তানের মুসলিম, যুক্তরাজ্যের কোনো মুসলিম কেউ কিছু করলে তার দায় আমরা নিব কেন? আমরা ভিন্ন কিসিমের, বিশেষ জাতের মুসলিম। আমরা বাঙালি মুসলমান। বাংলাদেশের মুসলমান আর পাকিস্তানের মুসলমান যে এক বিষয় নয় সেটা তো আমরা ১৯৭১ সালেই প্রমাণ করেছি।
লেখকঃ সাংবাদিক ও শিক্ষক