বিশ্বনাথে শিক্ষককে পেটালেন আওয়ামী লীগ নেতা
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২:২৫ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেটের বিশ্বনাথে আবুল বাহার নামে এক শিক্ষককে পিটিয়েছেন সৌদি আরব প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম। আবুল বাহার বিশঘরের প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ানের পাশাপাশি ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে এ ঘটনা ঘটলেও বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে পৃথক অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষক আবুল বাহার।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাত থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযোগে তিনি বলেন, মারধরের পর জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে তার স্বাক্ষর নিয়েছেন ওই প্রভাবশালী নেতা। আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং বিশঘর গ্রামের মৃত ওয়াহিদ আলীর ছেলে।
তবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোলায়মান হোসেন অভিযোগ পাননি জানালেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিতাভ পরাগ তালুকদার অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ওই বিদ্যালয়ে লাইব্রেরিয়ান পদে যোগদান করেন আবুল বাহার। শিক্ষক সংকটের কারণে বর্তমানে তিনি সহকারী শিক্ষকের দায়িত্বপালন করছেন। মঙ্গলবার বিকেলে লাইব্রেরীতে বই রাখা নিয়ে প্রধান শিক্ষক ফারুক ইকবাল ও সহকারী শিক্ষক আবুল বাহারের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের মধ্য হাতাহাতি হয়। প্রধান শিক্ষককে সহকারী শিক্ষক আবুল বাহার মারপিট করেছেন এমন সংবাদ পেয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় তিনি প্রধান শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে শিক্ষক আবুল বাহারকে কিল-ঘুষি ও থাপ্পড় মারেন।
আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম মারপিটের কথা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রধান শিক্ষককে মারধর করায় আমি তাকে (আবুল বাহারকে) একটি থাপ্পড় মেরেছি।
আর পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষরের ব্যাপারে তিনি বলেন, পদত্যাগপত্রটি সভাপতির অনুমতি নিয়ে অভিভাবক সদস্য কমর উদ্দিনের উপস্থিতিতেই নেওয়া হয়েছে।