অটোরিকশা আর ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দখলে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ণ
জুবেল আহমদ, ওসমানীনগর প্রতিনিধি:
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে নিষিদ্ধ হলেও আইন অমান্য করে সিলেটের ওসমানীনগরে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারি চালিত টমটম ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা। অলিগলি থেকে হঠাৎ বের হয়ে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে উঠে যাচ্ছে বেপরোয়া গতিতে। মহাসড়কে দুপাশে গড়ে তুলেছে সিএনজি চালিত অটোরিকশার অবৈধ স্ট্যান্ড। থেমে নেই ভ্রাম্যমান ব্যাবসায়ীরাও অবৈধভাবেই ফুটপাত সহ মহাসড়কের দুই দিকে দখলের প্রতিযোগীতায় নেমেছেন তারাও । অবৈধ ভাবে ফুটপাত মহাসড়ক দখলের ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা যানযটে পড়ছেন যাত্রীসহ দূর পাল্লার যানবাহন। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থায় প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান পরিচালনা করলেও স্থায়ী কোনো সমাধান হচ্ছে না। উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ অভিযান করলে তাৎক্ষণিক সিএনজি ও মহাসড়ক ব্যবহার করা অবৈধ ব্যবসায়ীরা সরে গেলেও প্রশাসনের অভিযান শেষ করে যাবার পর পরই আবার মহাসড়ক দখল করেন তারা। এতে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে, তারা বলছেন প্রশাসন চাইলে কি না পারে। তারা মাঝে মধ্যে এসে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করে। এসব লোক দেখানো অভিযানে কিছুই হবে।
সরজমিনে উপজেলার বানিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র গোয়ালাবাজারসহ মহাসড়কের সাথে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দুই পাশ দখল করে দোকানপাটের সামনে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ অটোরিকশা স্ট্যান্ড। বিশৃঙ্খলভাবে রাখা হয়েছে শত শত অটোরিকশা ও সিএনজি। মহাসড়কের পাশের ভ্রাম্যমাণ দোকানপাটের দখলে থাকায় পথচারীসহ বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ মহাসড়ক দিয়ে হেঁটে চলাচল করছেন। এতে জনসাধারণ চলাচলে ব্যাঘাতের পাশাপাশি সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।
এছাড়া মহাসড়কে প্রতিদিন বেপরোয়া গতিতে অসংখ্য ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা বিরাজ করলেও তা যেন দেখার কেউ নেই। বর্তমানে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে চলতে গেলে অন্যান্য যানবাহনের তুলনায় অটোরিকশাই বেশি চোখে পড়ে। অধিকাংশ অটোরিকশা চালকের বৈধ কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। এছাড়া মহাসড়কের উপরে বিভিন্ন এলাকার ঠিকাদার এবং বালু পাথর ইট ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য ফেলে রেখে ব্যবসা করার জন্যও মহাসড়কে ছোট খাটো লোকাল যান এবং সাধারণ পথচারী চলতে সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলাপ হয়েছে শিগগিরই আমরা সেনাবাহিনী সহ যৌথ বাহিনী নিয়ে বিশেষ করে গোয়ালাবাজারে একটি অভিযান পরিচালনা করব।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে গোয়ালাবাজারে বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করেছি। মহাসড়কে দখল ও যানজট নিরসনে আরো ব্যাপক পরিসরে প্রয়োজনীয় ব্যবাস্থা গ্রহন করা হবে।