সিলেটে জেলা পরিষদ নির্বাচন : সরব আ’লীগ, নীরব বিএনপি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ অক্টোবর ২০১৬, ৬:৫২ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেট বিভাগজুড়ে বইছে এখন জেলা পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া। সরকার আগামী ডিসেম্বরে জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইতিমধ্যে তৎপরতা শুরু করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক ডজন নেতা। দলীয় মনোনয়ন পেতে তারা চালিয়ে যাচ্ছেন জোর লবিং। তবে এই নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় বিএনপিতে তেমন কোনো আগ্রহ নেই। তারা মনে করেন দেশ স্বাধীনের পূর্বে পাকিস্তানের স্বৈরশাসক আইয়ুব খান যেভাবে নির্বাচন করেছিল সরকার সেভাবেই জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ধরনের আইয়ুব মার্কা নির্বাচনে বিএনপির না যাওয়াই ভালো।
তাই আওয়ামী লীগে তৎপরতা থাকলেও নির্বাচন নিয়ে নীরব বিএনপি। এ ব্যাপারে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন জানান, জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দলের হাই কমান্ডে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তবে তিনি মনে করেন এ ধরনের আইয়ুব মার্কা নির্বাচনে বিএনপির না যাওয়াই ভালো। এদিকে, নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যে জেলা পরিষদকে ১৫টি ওয়ার্ডে ভাগ করার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ওয়ার্ডের সীমানা চূড়ান্ত পাঠিয়ে দেয়া নির্বাচন কমিশনে। ২১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা পরিষদ নির্বাচনে একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও সংরক্ষিত আসনে ৫ জন মহিলা সদস্য নির্বাচিত হবেন। সিলেট বিভাগের চার জেলায় মোট ভোটার ৪ হাজার ৭৬৯ জন। এর মধ্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশন, ১৩টি উপজেলা, ৪টি পৌরসভা ও ১০৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সিলেট জেলা পরিষদের ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৪৯৩ জন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে তৎপর হয়ে উঠেছেন। বিভাগের চার জেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের একডজন প্রার্থী আগাম মাঠে নেমেছেন। সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের যেসব প্রার্থীর নাম আলোচনায় ও তৎপর রয়েছেন তারা হচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা প্রশাসক অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ, শাহ ফরিদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আহমদ আল কবীর। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন অধ্যক্ষ এনামুল হক সর্দার।
১১টি উপজেলা, ৪টি পৌরসভা ও ৮৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ২১৬ জন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের যেসব প্রার্থীর নাম আলোচনায় রয়েছেন তারা হচ্ছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা প্রশাসক ব্যারিস্টার এনামুল কবীর ইমন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুলহুদা মুকুট, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদের পুত্র আজিজুস সামাদ ডন।
৭টি উপজেলা, ৫টি পৌরসভা ও ৬৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের ভোটার সংখ্যা ৯৫৭ জন। এখানে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের যেসব প্রার্থীর নাম আলোচনায় রয়েছেন তারা হচ্ছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আজিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবুল, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী মরহুম সৈয়দ মহসীন আলীর ভাই সৈয়দ মফচ্ছিল আলী।
৮টি উপজেলা, ৬ট পৌরসভা ও ৭৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ১০৩ জন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের যেসব প্রার্থীর নাম আলোচনায় রয়েছেন তারা হচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ডা. মুশফিকুর রহমান, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান শহিদ উদ্দীন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন চৌধুরী অসিম।