জগন্নাথপুরে তিন বছরেও হয়নি সংস্কার : দেবে গেছে পিলার, হেলে আছে সেতু
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ মে ২০২৫, ৪:২২ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের জগদীশপুর বড়খালের ক্ষতিগ্রস্ত সেতু তিন বছরেও সংস্কার হয়নি। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ২৫ গ্রামের মানুষের। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সেতুটি ঝুঁকিতে থাকায় সব ধরনের ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ছোট ছোট যান ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। সরজমিন দেখা যায়, সেতুর দুইটি পিলার দেবে গিয়ে অনেকটা হেলে পড়েছে। মাঝের দুইটি পিলার অংশে ফেটে গেছে। ভেঙে পড়েছে সেতুর একাংশ রেলিং। এ ছাড়া, সেতুর পূর্বাংশে ধসে পড়া সংযোগ সড়ক মাটি দিয়ে ভরাট করে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের বড়খালের ওপর এলজিইডি’র আওতাধীন নির্মিত পুরনো সেতুটি ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যার পানির স্রোতে সেতুর মাঝের দুইটি পিলার নিচের দিকে দেবে যায়। এবং সেতুর একাংশের অ্যাপ্রোচ ধসে পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে ওই সেতু দিয়ে তেলিকোনা-চণ্ডিচর সড়কে বছরখানেক সরাসরি যান চলাচল বন্ধ থাকার পর স্থানীয়দের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে মাটি ভরাট করে যান চলাফেরার ব্যবস্থা করা হয়। তবে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় সব ধরনের ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ সেতু দিয়ে উপজেলা সদরের পাশাপাশি জেলা শহরে যোগাযোগ করে আসছেন ইউনিয়নের জগদীশপুর, শ্রীধরপাশা, গলাখাই, কামারখাল, কান্দারগাঁও, কাদিপুর, নোয়াগাঁও, তেলিকোণ গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার দিরাই ও শান্তিগঞ্জের কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ গ্রামের লোকজন।
কান্দারগাঁও গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বলেন, তিন বছরেও সেতু মেরামত না হওয়ায় এলাকাবাসী খুবই দুর্ভোগে চলাফেরা করছেন। জগদীশপুর গ্রামের মিলন মিয়া বলেন, হেলে যাওয়া জরাজীর্ণ সেতু দিয়ে আমরা কষ্ট করে যাতায়াত করছি। বর্ষায় খালে পানি বৃদ্ধি পেলে সেতুটি আরও ঝুঁকির মুখে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা সমাজসেবক আব্দুস সোবহান বলেন, কলকলিয়া ইউনিয়ন, দিরাই ও শান্তিগঞ্জের কমপক্ষে ৩০ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ জগদীশপুর সেতু দিয়ে যাতায়াত করে আসছেন। জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সেতুটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের নারী ইউপি সদস্য হোসনা বেগম বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সেতু দিয়ে আমাদের ইউনিয়নের কমপক্ষে ১০ গ্রামের লোকজনের পাশাপাশি পাশের দিরাই ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার আরও ১৫ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে আসছেন প্রতিনিয়ত। সেতু সংস্কারের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট বিভাগে বারবার দাবি জানিয়ে আসছি। উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোহরাব হোসেন বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সেতু নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাইট পরিদর্শন করে মালামালও আনা হয়েছে। অচিরেই কাজ শুরু হবে।