ইসরায়েলের নাম বাদ দেয়ায় প্রসংশায় ভাসছে বিশ্বকাপ আয়োজক কাতার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ আগস্ট ২০২২, ৭:৩০ অপরাহ্ণ
ফিফার হসপিটালিটি প্যাকেজ থেকে ইসরায়েলের নাম বাদ দেয়ায় মুসলিম বিশ্বের প্রসংশায় ভাসছে কাতার। তবে সমালোচনায় মেতেছে পশ্চিমা বিশ্বের গণমাধ্যম। পাল্টা জবাব হিসেবে কাতার বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়া নাগরিকদের নিষিদ্ধ করতে পারে ইসরায়েল। এদিকে নিশ্ছদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশ্বকাপের প্রতি ভেন্যুতে ১৫ হাজার ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
কাতারের এক সিদ্ধান্ত যেনো প্রশান্তি বয়ে এনেছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনে। দেশটির সাধারণ মানুষ থেকে রাজনীতিবিদ, আইনজীবী সবাই কাতারকে প্রসংশায় ভাসাচ্ছে। শুধু কি ফিলিস্তিন? মধ্যপ্রাচ্যের লাখো মুসলিম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধন্যবাদ জানিয়েছে। কারণ একটাই ফিফার অফিসিয়াল হসপিটালিটি প্যাকেজ কিনে বিশ্বকাপ দেখতে হলে ফিলিস্তিন নামে কিনতে হবে ইসরায়েলবাসীকে। এটাকে নিরব প্রতিবাদ হিসেবে দেখছেন মুসলিম বিশ্ব।
এখনো কোন প্রতিক্রিয়া দেয়নি ইসরায়েল। ফিফাও কোন মন্তব্য করেনি। গুঞ্জন আছে, নাগরিকদের জন্য কাতার বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়া নিষিদ্ধ করতে পারে ইসরায়েল। আর পশ্চিমা দেশগুলোর গণমাধ্যম কাতারের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছে।
ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া অবশ্য দেখার সময় নেই কাতারের। বিশ্বকাপের খুব বেশি দিন বাকি নেই তাই প্রস্তুতি চলছে বেশ জোরেশোরে। বিশেষ করে নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপোষ করছে না মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। আর তাই জনপ্রিয় টেলিভিশন শো বিগ ব্রাদারের আদলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে চায় কাতার। প্রতিটি ভেন্যুতে ১৫ হাজার ক্যামেরা বসানো হবে, জায়ান্ট স্ক্রিনে পর্যবেক্ষণ করা হবে দর্শকদের।
কাতার ১০০ দিনের কাউন্টডাউন শুক্রবার হলেও, দুই দিন পর সে উৎসবে যোগ দিয়েছে ওয়েলস। বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ থেকে শতদিন দূরে ইউরোপের দেশটি। প্রথম ম্যাচের দিনটি উদযাপনের জন্য সরকারিভাবে দেড় মিলিয়ন পাউন্ডের বিশেষ তহবিলও গঠন করা হয়েছে।