ভারত-বাংলাদেশের পর্যটন উৎসবে দু’দেশের সম্পর্ক আরও নিবিড় হবে: উপাধ্যক্ষ শহীদ
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৫৮:০১,অপরাহ্ন ২১ এপ্রিল ২০২২
জাতীয় সংসদের সাবেক চীফ হুইপ ও অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি বলেছেন, পর্যটন উৎসবের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও নিবিড় হবে। এই উৎসব শুধু দুই দেশের সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বন্ধন আরও সুদৃঢ় করবে।
পর্যটন একটা শিল্প, সেই শিল্প সত্যিকার অর্থে শুধু বিনোদনের জন্যেই নয়, আমাদের কর্মসংস্থানের বিশাল সুযোগ রয়েছে। দর্শনীয় স্থানকে রক্ষা করতে পারলে আমাদের কর্মস্থানের বিষয়টি সম্পৃক্ত হয়ে যায়। ইতিমধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী যে পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন আমাদের বাংলাদেশ সরকারও ইতিমধ্যে অনেক প্রকল্প গ্রহন করেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও পর্যটন শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের বন্ধুত্বসম্পর্কের কারণে আগরতলায় অধিকাংশ শরণার্থীই বাংলাদেশের। মুক্তিযুদ্ধের সময় এক কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলো, তারমধ্যে অধিকাংশই ত্রিপুরা রাজ্যেই। বিগত দুই বছর আগে ত্রিপুরা রাজ্যের পর্যটন উৎসব করোনার আগে হয়ে ছিলো। আর এই দুই বছর করোনার কারণে বন্ধ থাকায় পর্যটনের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। তারপরও ধন্যবাদ ত্রিপুরা রাজ্যে সরকারের পক্ষ থেকে পর্যটন মন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছেন এই উদ্যোগের কারণে ভারত ও বাংলার পর্যটন উৎসব সম্ভব হয়েছে।
ভারতের আগরতলা গীতাঞ্জলি ট্যুরিজম গেস্ট হাউজে ত্রিপুরা রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী প্রাণজিৎ সিংহ রায়ের সাথে মতবিনিময়কালে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য তুলে ধরেন উপাধ্যক্ষ মো.আব্দুস শহীদ এমপি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার (ত্রিপুরা রাজ্য) মি. আরিফ মোহম্মদ, আগরতলা পুর নিগম মেয়র দীপক মজুমদার, ফাস্ট সেক্রেটারী মি. রেজাউল হক চৌধুরী, শ্রীমঙ্গল উপজেলা চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়, আগরতলা জারা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মশাহিদ আলী।
উল্লেখ্য, ১৭ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলা তিন ব্যাপি আগরতলা উজ্জ্বয়ন্তা প্রসাদ প্রাঙ্গনে ভারত বাংলাদেশ পর্যটন উৎসবে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলসহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির ট্যুর অপারেটরগণ অংশ নেন। আরোও অংশ নেন হোটেল মালিক, পর্যটন আধিকারিক, স্বাধীনতা সংগ্রামী, কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। পর্যটন উৎসবের উদ্বোধন করবেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা।