কমলগঞ্জে হামলায় অন্তসত্তা নারীসহ আহত ৫
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ এপ্রিল ২০২২, ৭:৫৫ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক :
কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের শিংরাউলী এলাকায় পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজনের অতর্কিত হামলায় অন্তসত্তা নারী ও স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীসহ ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গুরুতর আহতদের মধ্যে অন্তঃসত্ত¡া নারী হাজেরা বেগম (৩২), স্কুল ছাত্রী পপি আক্তার (১৫) ও সায়েরা বেগম(৪৫) কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত আব্দুর রউফ ও হেপী আক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন।
জানা গেছে- গত ৩ এপ্রিল বিকালে ছোট শিশুর থুতু ফেলাকে কেন্দ্র করে নুর ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মুমিন মিয়া, বশর আলী,আক্কাব মিয়া,মরিয়ম বেগম,জরিনা বেগম, পরিনা বেগম,হেলেনা বেগমসহ ১০/১২ জন লোক ভুক্তভোগী আব্দুর রউফ এর বসত ঘরে রেলওয়ের পাথর বৃষ্টির মত নিক্ষেপ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ভাংচুর করতে থাকে। এ সময় আব্দুর রউফ ও তার স্ত্রী হাজেরা বেগম ঘর থেকে বের হয়ে তাদেরকে বাঁধা নিষেধ করলে তাদের উপর অতর্কিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা শুরু করে তাদেরকে আহত করে।
এ সময় তাদের হাল্লা চিৎকার শুনে অন্যান্য লোকজন এগিয়ে আসলে হামলা কারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আহতদের কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে ২ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেন। এদের মধ্যে হাজেরা বেগম ও পপি আক্তার এবং তাদের প্রতিবেশী শায়রা বেগম এর অবস্থা খারাপ থাকায় চিকিৎসক তাদের হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। এদিকে ৪ এপ্রিল সোমবার বিকালে অন্তসত্তা নারী হাজেরা বেগম এর পায়ের জখমী স্থান ও শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। হাজেরা বেগম অভিযোগ করেন- তাকে মারধর করার পর হামলাকারীরা একটি এসিড জাতীয় তরল পানীয় বোতল ছুড়ে মারলে বোতলের পানি তার পায়ে পরলে সেই জায়গায় জখমের সৃষ্টি হয়। তিনি সদর হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শমশেরনগর হাজি উস্তার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী পপি আক্তার জানান, হামলাকারীরা প্রায় সময় স্কুলে যেতে বাধা বিপত্তি ও আপত্তিকর কথা বলে। তার বাবা আব্দুর রউফকে খুন ও তাদেরকে এসিড দিয়ে জ্বালিয়ে দেবে বলে হুমকি প্রদান করে।