মৌলভীবাজারে সিজেএম আদালতে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ এপ্রিল ২০২২, ৭:২৩ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক :
মৌলভীবাজার জেলার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উদ্যোগে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (২ এপ্রিল) সকালে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ আলী আহসান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত কনফারেন্সে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোঃ নাছের রিকাবদার বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জগলুল হক, বেগম মুমিন্নুসিনা খানম ও বেগম হোসনে আরা বেগম; বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম. মিজবাহ উর রহমান; জেলা আইনজীবী সমিতির বিজ্ঞ সভাপতি এ.এস.এম আজাদুর রহমান আজাদ ও বিজ্ঞ সাধারণ সম্পাদক মোঃ বদরুল হোসেন ইকবাল, বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটর রাধাপদ দেব সজল জেলার বিভিন্ন থানা ও গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার। তিনি বক্তব্যে মৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মামলার বিবরণ ও বিভিন্ন থানার মূলতবী পরোয়ানার বিবরণ তুলে ধরেন।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক ও থানার অফিসার ইনচার্জগণ মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালসহ জেলার অন্যান্য হাসপাতাল হতে যথাসময়ে পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট ও মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রাপ্ত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হতে যথাসময়ে পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট ও মেডিকেল সার্টিফিকেট এবং সিআইডি’র ডিএনএ ফরেসিক ল্যাব হতে যথাসময়ে ডিএনএ প্রতিবেদন না পাওয়ায় অনেক মামলায় আইনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুলিশ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা সম্ভব হয় না মর্মে উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির বিজ্ঞ সভাপতি এ.এস.এম আজাদুর রহমান আজাদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, চালান ফরোয়ার্ডিং-এ আসামীকে গ্রেফতারের সময় ও স্থান সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় না। চালান ফরোয়ার্ডিং-এ আসামীকে গ্রেফতারের সময় ও স্থান সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করার জন্য তিনি তদন্তকারী কর্মকর্তা তথা থানার অফিসার ইনচার্জদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ আলী আহসান পুলিশ বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগের ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং জেলার বিভিন্ন থানায় তদন্তাধীন থাকা মামলার তদন্ত কার্য দ্রæততা ও দক্ষতার সাথে আইনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে আদালতে প্রতিবেদন প্রেরণ, যথাসময়ে মামলার সাক্ষী উপস্থাপন নিশ্চিত করত: তাদের নিরাপত্তা বিধান, গ্রেফতারের পর আইনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আদালতে সোপর্দ করার, পরোয়ানা জারির ক্ষেত্রে আরও তৎপর হওয়ার এবং মৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন মামলাসমূহের সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়া দ্রæত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য বিচারক ও থানার অফিসার ইনচার্জসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বিভিন্ন ধরনের দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।