বড়লেখায় লাইন না মেনে টিকা নিতে না দেয়ায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মচারিকে মারধর
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:০২ পূর্বাহ্ণ
মৌলভীবাজারের বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অফিস সহকারি প্রণব চন্দ্র দাসকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, লাইন ভেঙে জোরপূর্বক করোনা ভ্যাকসিন নিতে না দেওয়ায় মাশরাফি আলম মাহীর নেতৃত্বে ৭-৮ যুবক তাকে পিটিয়ে আহত করেছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া দুইটায় হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হাসপাতাল কর্মচারি ঘটনাকারী মাশরাফি আলম মাহীকে প্রধান ও ৭-৮জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। সিসি ক্যামেরার ফোটেজ দেখে পুলিশ অন্য হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত হাসপাতাল কর্মচারিরা অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ১২ বছর থেকে ১৭ বছর বয়সীদের করোনার প্রথম ডোজের টিকা প্রদান কার্যক্রম চলছিল। দুপুরের দিকে উপজেলার নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়নের যুবক মাশরাফি আলম মাহী ফাইজারের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে লাইন ছাড়াই বুথে প্রবেশ করে অপেক্ষমানদের পেছনে ফেলে তাকে টিকা দিকে জোরজবদস্তি চালায়।
এসময় অফিস সহকারি প্রণব চন্দ্র দাস তাকে লাইনে যেতে অনুরোধ জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে অফিস সহকারি প্রণব চন্দ্র দাস, টিকা কার্যক্রমে নিয়োজিত সিস্টার ও ব্রাদারদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে হাসপাতালের নিচে চলে যায়। আধঘন্টা পর মাশরাফি আলম মাহী প্রণব দাসকে ডেকে হাসপাতালের নিচে নামিয়ে আরো ৭/৮যুবকসহ তাকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রণব দাসকে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রতœদ্বীপ বিশ্বাস জানান, জোরপূর্বক টিকা নিতে ব্যর্থ হয়ে কয়েকজন যুবক সংঘবদ্ধভাবে তার হাসপাতালের এক কর্মচারিকে ব্যাপক মারধর করেছে। এতে শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। হামলার ঘটনায় আহত অফিস সহকারি প্রণব চন্দ্র দাস থানায় অভিযোগ করেছেন।
বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রতন চন্দ্র দেবনাথ জানান, হাসপাতাল কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফটেজ দেখে অন্য আসামীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।