কমলগঞ্জে তিলকপুরে শতবর্ষ কুম্ভমেলা অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ৬:৩৫ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার তিলকপুর গ্রামে ‘বাংলাদেশ মণিপুরি যুবকল্যাণ সমিতি, তিলকপুর শাখা’র উদ্যোগে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় ৩দিন ব্যাপী “শতবর্ষ কুম্ভমেলা” উদযাপন করা হচ্ছে। গত ১৬ ফেব্রæয়ারি এ মেলা শুরু হয়েছে এবং সমাপ্ত হবে ১৮ ফেব্রæয়ারি শুক্রবার।
কুম্ভ অর্থ কলস (অমৃতের কলস) আর মেলা অর্থ মেল (একত্র)অর্থাৎ অমৃতের কলস হতে অমৃত গ্রহণের জন্য ভক্তবৃন্দের একত্র হওয়ার নামই “কুম্ভমেলা”। হিন্দু ধর্মে ‘কুম্ভমেলা’ চারটি স্থানের কথা উল্লেখ আছে- হরিদ্বার, উজ্জ্বয়িনী, প্রয়াগ ও নাসিকা।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রয়াগ নামক স্থানের এক কুম্ভমেলায় ১৬ কোটি ভক্ত একত্রিত হয়েছিল যা টঘঊঝঈঙ সংস্থা স্বীকৃতি প্রদান করেন। ১০০ বছর পূর্বে কমলগঞ্জের তিলকপুর “কুম্ভমেলা” হিন্দু ধর্মের সাধু, সন্ন্যাসী ও ভক্তদের মাঝে আত্মার শুদ্ধি এবং পরম আত্মার অমৃতবাণী গ্রহণের এক মাধ্যম ছিল, যার ব্যাপ্তী ছিল সাত দিন। ১৯২০ সালে প্রয়াত যোগেশ্বর শর্মার বাবা (‘জামাই ঠাকুর’ নামে পরিচিত) তিলকপুর, শ্রীশ্রী গোপীনাথ মন্দির সংলগ্ন স্থানে প্রতীকী কুম্ভ বানিয়ে বাংলাদেশের মণিপুরি সমাজে প্রথম “কুম্ভমেলা” র প্রবর্তন করেন।
যা পরবর্তী সেই সময়ে হিন্দুদের ধর্মীয় তীর্থ স্থানে রূপ নেয়। ১৯২০-১৯৬৫ সাল পর্যন্ত একটানা চলার পর বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক কারণে তা আর উদযাপন করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ মণিপুরি যুবকল্যাণ সমিতি, তিলকপুর শাখা’র উদ্যোগে আবারো সেই একই স্থানে “কুম্ভমেলা” পূণঃ উদযাপন করা হচ্ছে। তিন দিন ব্যাপী এই কুম্ভমেলা’য় ধর্মীয় সভা, লীলা কীর্তন, মণিপুরিদের ঐতিহ্য পালা কীর্তন ও হলি প্রতিযোগিতা, যজ্ঞ, মহাপ্রসাদ ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মণিপুরি যুবকল্যাণ সমিতি, তিলকপুর শাখার সভাপতি সঞ্জু কুমার সিংহ জানান, তিলকপুর গ্রামবাসীর সহযোগিতায় বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্যরে মধ্য দিয়ে ৩দিন ব্যাপী “শতবর্ষ কুম্ভমেলা” উদযাপন করা হচ্ছে।