নারিনের ব্যাটিং তান্ডবে ফাইনালে কুমিল্লা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ৮:৫৬ অপরাহ্ণ
২০০৭ সালে যুবরাজ সিং ১২ বলে হাফসেঞ্চুরি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন। টি-টোয়েন্টিতে সেই রেকর্ড এখনও অক্ষত। সমান বলে হাফসেঞ্চুরি পাওয়ার রেকর্ড আছে আরও দুই ব্যাটার- ক্রিস গেইল ও হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের। আজ (বুধবার) ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার সুনীল নারিনের সুযোগ ছিল এই রেকর্ডটি নিজের করে নেওয়ার। কিন্তু মিরপুরের ২২ গজে ঝড় তোলা নারিন অল্পের জন্য যুবরাজকে টপকাতে পারলেন না।
ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়ে মাত্র ১৩ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলা নারিন। একটুর জন্য বিশ্ব রেকর্ড মিস হলেও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজের নামটা ঠিকই খোদাই করে লিখে নিলেন ক্যাবিবীয় অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় তিনিই এখন দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির মালিক। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে এই কীর্তি গড়েছেন তিনি।
এতদিন বিপিএলের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি ছিল আহমেদ শেহাজাদের। ২০১২ সালে প্রথম আসরে দুরন্ত রাজশাহীর বিপক্ষে বরিশাল বার্নাসের হয়ে শেহজাদ ১৬ বলে ফিফটি করেছিলেন। মিরপুরেই ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় এই মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন।
স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টির দ্রুততম ৫ হাফসেঞ্চুরিয়ানের মধ্যে ১২ বলে ফিফটি পাওয়া ক্রিকেটার তিনজন। তারা হচ্ছেন- যুবরাজ সিং (২০১২), ক্রিস গেইল (২০১৬) ও হযরতউল্লাহ জাজাই (২০১৮)। এছাড়া ফ্রেন্ডস প্রভিডেন্ট কাপে ২০১০ সালে মার্কাস ট্রেসকোথিক ১৩ বলে হাফসেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। এর বাইরে ১৪ বলে হাফসেঞ্চুরি করা ব্যাটার আছেন ১১ জন। আন্দ্রে রাসেল পিএসএল ও সিপিএলে এই কীর্তি গড়েছিলেন। এর বাইরে ইমরান নাজির, কাইরন পোলার্ড, লোকেশ রাহুল আছেন এই তালিকাতে।
আজ (বুধবার) ১০ বছর পর শেহজাদকে হটিয়ে বিপিএলের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড নিজের করে নেন নারিন। পুরো মৌসুমেই মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করেছেন নারিন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ওপেনিংয়ে খেলার অভিজ্ঞতা থাকা এই ব্যাটার কুমিল্লার কোয়ালিফায়ার ম্যাচে ওপেনিংয়ে নামেন। নতুন পজিশনে নেমেই দুর্দান্ত খেললেন তিনি। মৃত্যুঞ্জয়ের প্রথম বলেই লং অন দিয়ে বিশাল ছক্কায় এই কীর্তি গড়েন নারিন। ৪ চার ও ৬ ছক্কার সাহায্যে ক্যারিবিয় এই ব্যাটার মাইলফলকে পৌঁছান।
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি পেয়ে অবশ্য খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি এই ব্যাটার। ১৬ বলে ৫ চার ও ৬ ছক্কায় ৫৭ রান করে মৃত্যুঞ্জয়ের শিকার হন। পুরো সময়টাতে চট্টগ্রামের বোলারদের পাড়ার বোলার বানিয়ে ছাড়েন সারাবিশ্বে টি-টোয়েন্টি ফেরি করে বেড়ানো নারিন।