মৌলভীবাজারে কলেজ ছাত্রকে হত্যার অভিযোগে মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ জানুয়ারি ২০২২, ৫:১০ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার যদুর অলহা গ্রামের শাহরিয়া আহমদ রাজ (১৯)কে ইউরোপে পাঠাতে না পেরে টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দ্যেশ্যে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে দুর্ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজেস্ট্রিট আদালতে(মামলা নং -২২৭/২১) দায়ের করা হয়েছে। সে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার যদুর অলহা গ্রামের মৃত আব্দুল করিম এর ছেলে।
গত ২০ ডিসেম্বর মৃত শাহরিয়ার আহমদ রাজ এর চাচা আব্দুল হান্নান বাদী হয়ে রাজনগর উপজেলার সালং গ্রামের সাব্বির খান(২৩) শরিয়ত খান লেচু(৫২) মঞ্জু আহমদ (৩৫) শেফালী বেগম(৩৫) সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জকে এ ঘটনায় কোন ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে কিনা তা প্রতিবেদন প্রেরণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে বিগত ১২ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১টায় রাজনগর উপজেলার কদমহাটা হাইস্কুলের সামনে রাজ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেছে বলে জানায় সংঙ্গীয় সাব্বির খান। ঘটনার দিন সকালে সাব্বির খান শাহরিয়া আহমদ রাজ এর ব্যবহৃত মোবাইলে বার বার ফোন দিয়ে তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য মৌলভীবাজার ওয়েষ্টার্ণ প্লাজা আবাসিক হোটেলে এর নিচে অপেক্ষা করে। সাব্বির খান তার বাড়ি রাজনগরের উদ্দ্যেশ্যে রাজকে নিয়ে রওনা দেয়। সে মোটরসাইকেল ড্রাইভ না করে রাজকে ড্রাইভে দেয়।
কদমহাটা হাই স্কুলের সামনে গিয়ে সাব্বির গংরা মিলে রাজকে গলা কেটে হত্যা করে একটা পিক আপ ভ্যানের ধাক্কায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালায়। যা ছিল তাদের পূর্ব পরিকল্পিত । পিকআপ ভ্যান মোটরসাইকেলকে সজোরে ধাক্কা দেয় কিন্তু মোটরসাইকেলে থাকা সাব্বিরের কোন ক্ষতি হয়নি। মোটরসাইকেলও ছিল সম্পুর্ন অক্ষত। মৃত্যুর পর তড়িঘড়ি করে পরিবারের সম্মত্তি ছাড়াই ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। মামলার বাদী ঘটনার সুষ্ট ও ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।