প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই সরকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে: পরিবেশমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ৭:৪৪ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক :
মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌরসভার প্রতিটি বাড়িতে সুপেয় পানি সরবরাহও স্যানিটেশন নিশ্চিতকরণের প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। শনিবার (৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় পৌরসভার বারই গ্রাম এলাকায় এই প্রকল্প কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাবউদ্দিন এমপি।
জানা গেছে, দেশের ৩০টি পৌরসভায় সুপেয় পানি সরবরাহও স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় বড়লেখায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজটি বাস্তবায়ন করছে। জিওবি, বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) অর্থায়নে ১৮ মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম পর্যায়ে পানি সরবরাহ কাজে ব্যয় হবে ১০ কোটি ৮০ লাখ ৪৫ হাজার ৩২৪ টাকা। কাজটি করছে মেসার্স জিলানী ট্রেডার্স-মেসার্স আদেল এন্টারপ্রাইজ (জেবি)।
অন্যদিকে, একই প্রকল্পের আওতায় পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ৩ হাজার ৬২১ মিটার ড্রেন ও নির্মাণ করা হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী। কাউন্সির রেহান পারভেজ রিপনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালেদুজ্জামান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই সরকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে। পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকার ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে একটু যারা পেছনে আছে তাদের টেনে তোলা। আমারা যারা এগিয়ে আছি, তাদের সাথে পিছিয়ে পড়াদের তুলতে পারলে দেশ উন্নত হয়ে যাব। সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। লক্ষ্যে বাস্তবায়ন করলে ২০৪১ সালেউন্নত দেশ হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার পৌর নাগরিকদের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্য একসাথে বড়লেখায় প্রায় ২৩ কোটি টাকার কাজ দিয়েছে। এগুলো দেশের ৩০টি পৌরসভায় দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সকল পৌরসভায় দেওয়া হবে।
পৌরসভা ছাড়াও বড়লেখায় যে ১০টি ইউনিয়ন আছে সেগুলো পানি সরবরাহ দেওয়ার জন্য চিন্তা করছে। কিছু কিছু ছোট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যে এলাকায় টিউবেল হয় না সেখানে সাপ্লাই দেওয়ার চিন্তা আছে। বিশেষ করে বড়লেখার দুর্গম এলাকা ও হাওর অঞ্চলে এগুলো দেওয়া হবে।’