ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত কুলাউড়ার দু’জনের দাফন সম্পন্ন
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:০০:০৩,অপরাহ্ন ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার:
তারা গিয়েছিলেন পরিবারের মুখে হাসিফোটাতে। জীবন-জীবিকার তাগিদে পরিবার পরিজন ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন মধ্যপ্রাচ্যের ওমানে। কিন্তু হাসিফোটার আগেই তাদের পরিবারের জীবনে এসেছে এক করুণ বেদনার সুর। ওমানে এক সড়ক দুর্ঘটনা তাদের জীবনের সকল কিছু ওলটপালট করে দিয়েছে। রবিবার তারা ফিরেছেন বাক্স বন্দী হয়ে, লাশ হয়ে। উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের সবুর আলী (৩৩) ও হাজীপুর ইউনিয়নের বিলের পার গ্রামের লিয়াকত আলীর (৩৫) লাশ বাড়ীতে ফিরলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
গত ২ ফেব্রুয়ারি ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছিলেন। এদের মধ্যে ৩ জনের বাড়ী মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায়।
রবিবার দুপুরে শরীফপুর ইউনিয়নের সঞ্জরপুর গ্রামের নিহত সবুর মিয়ার লাশ আসার পর ঐদিন সন্ধায় জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এদিকে ঐদিন রাত সাড়ে ৯টায় হাজিপুর ইউনিয়নের বিলেরপার গ্রামের নিহত লিয়াকত আলীর লাশ বাড়ীতে পৌছার পর সোমবার(১০ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ ঘটিকায় জানাযার নামাজ শেষে কছমুলীপার কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। নিহত লিয়াকত ও সবুরের বাড়িতে স্বজনদের কান্নায় বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। শুধু তাদের পরিবারই নয়, গোটা এলাকার মানুষ শোকাহত। বাংলাদেশ সরকার লাশ দাফনের জন্য জনপ্রতি ৩৫ হাজার টাকা করে দিয়েছে। কিন্তু ওমানের সরকারের কাছ থেকে এখনও কোন সহযোগিতা পায়নি তাদের পরিবার। লিয়াকত আলীর চাচা বিজিবির (অব:) মাসুদুর রহমান জানান, লাশ দেশে আনতে সরকার যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। তার ভাতিজার স্ত্রী ও ৯ বছর বয়সের এক সন্তান রয়েছে।
এদিকে কমলগঞ্জ উপজেলার আলনিগর ইউনিয়নের চিৎলিয়া বাজার টিলা এলাকার আলম হোসেন ওমানে অবৈধ ভাবে বসবাস করায় লাশ দেশে পৌছায়নি। এতে শঙ্কায় রয়েছে হত দরিদ্র পরিবারটি। কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী জানান, মৌলভীবাজারের নিহত ৩জনের মধ্যে ২জনের লাশ এসেছে। তিনি বলেন, হাজীপুর ও শরীপুরের দুই নিহতের পরিবার খুবই অসহায়। সে জন্য সরকারীভাবে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।