কুলাউড়ায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন করেছে দুদক টিম
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ৬:৪৫ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
কুলাউড়া উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রায় ৩শ বাড়ি নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও লুটপাট হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার (২৫এপ্রিল) ঘটনা তদন্তে মাঠে নামে দুনীর্তি দমন কমিশন (দুদক) এর একটি টিম। দুদকের সহকারি পরিচালক মো. এরশাদ মিয়ার নেতৃত্বে ৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল দিনভর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্মিত ঘর পরিদর্শণ করেন।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় (যাদের জায়গা আছে বাড়ি নাই) কুলাউড়া উপজেলায় প্রায় ৩শ বাড়ি নির্মাণ করা হয়। কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল লাইছ কোন নীতিমালা অনুসরণ না করে টেন্ডার কোটেশন ছাড়াই পছন্দসই ঠিকাদার দিয়ে বাড়িগুলো নির্মাণ করেন। বাড়িগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হবার আগেই সেগুলো ব্যবহার অনুপযোগি হয়ে পড়ে। বিশেষ করে দু’ শতাধিক ঘরের নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম হয়। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হলে নজরে পড়ে দুদকের। তারা বিষয়টি সরেজমিন তদন্তে আসে কুলাউড়ায়।
দুদক হবিগঞ্জ অঞ্চলের ডেপুটি ডাইরেক্টর অজয় সাহা জানান, আমরা সহকারি পরিচালকের নেতৃত্বে তদন্ত করে যাচ্ছি। তদন্ত প্রতিবেদন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেবো। তবে তদন্তাধীন বিষয়ে কোন কথা বলবো না।
এর আগে বুধবার ২৪ এপ্রিল সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী কুলাউড়া উপজেলায় সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শনে আসলে জয়চন্ডী ইউনিয়নে একটি ঘর পরিদর্শণ করেন। স্থানীয় একাধিক সুত্র জানায়, পরিদর্শনকালে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে উপকারভোগিরা সরাসরি গৃহ নির্মাণে অনিয়মের কথা জানান। এ সময় জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।