ইয়ুথ কনক্লেভে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার নেপাল যাচ্ছেন বাংলাদেশি তরুণরা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ মার্চ ২০১৯, ৯:১০ অপরাহ্ণ
সুরমাল নিউজ :
২য় নেপাল-বাংলাদেশ ইযুথ কনক্লেভ এ যোগ দিতে আগামীকাল ২৮ মার্চ নেপালের ইটাহারিতে যাচ্ছেন ৮৮ জন বাংলাদেশি তরুণ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০:৩০টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৭১ নম্বর ফ্লাইটে তারা কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন। কাঠমান্ডু থেকে সড়ক পথে তারা ইটাহারিতে পৌঁছাবেন।
৮৮ জনের মধ্যে সিলেটের থেকে যোগ দিচ্ছেন ৫ জন, এর অন্যতম হচ্ছেন বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা চৌধুরী। তিনি ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিকতার সাথেও জড়িত।
২য় নেপাল-বাংলাদেশ ইয়ুথ কনক্লেভের আয়োজক যৌথভাবে নেপালের ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ওয়াই.ডি.সি.), স্যানিটেশন-এনভায়রনমেন্ট এন্ড এনার্জি (এস.ই.ই.) এবং বাংলাদেশের ইয়ুথ ফর ডেমোক্রেসি এন্ড ডেভেলপমেন্ট (ওয়াই.ডি.ডি) নামক তিনটি সংগঠন। গত ২০১৭ সালের জুনে কাঠমান্ডুতে ১ম নেপাল বাংলাদেশ ইযুথ কনক্লেভ অনুষ্ঠিত হয়।
২৯-৩১ মার্চ এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে ৮৮ জন বাংলাদেশি তরুণের পাশাপাশি শতাধিক নেপালী তরুণ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়াও ভারত, আফগানিস্তান, ভুটান ও শ্রীলঙ্কা থেকে আরো ২৫ জন তরুণ পর্যবেক্ষক হিসেবে যোগ দেবেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সম্মেলনের যৌথ আয়োজক ইয়ুথ ফর ডেমোক্রেসি এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর সাধারণ সম্পাদক ও ২য় নেপাল বাংলাদেশ ইয়ুথ কনক্লেভ এর বাংলাদেশ কান্ট্রি কোর্ডিনেটর, সাবেক ছাত্রনেতা বাপ্পাদিত্য বসু। বাংলাদেশের এই তরুণ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় , জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়, বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, বিইউবিটি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস, জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়-সহ বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, এটুআই প্রোগ্রামের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ফার্মাসিস্ট, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও দলিত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, সাংস্কৃতিক সংগঠক, বিভিন্ন ইয়ুথ ক্লাবের প্রতিনিধিবৃন্দ।
২৯ মার্চ সকাল ৯টায় প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন নেপালের ১ নং প্রদেশের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী জনাব শেরধান রাই। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর তিনটি সেশনে মোট ৭টি বিষয়ের উপর সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এসব সেমিনারে দুই দেশের তরুণ প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞগণ বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়গুলো হলো- এসডিজি, গুড গভর্নেন্স এন্ড ইয়ুথ; ট্রেড, ইনভেস্টমেন্ট এন্ড ট্যুরিজম প্রোমোশন; ইয়ুথ পার্টিসিপেশন, এমপাওয়ারমেন্ট এন্ড পলিসি অ্যারেঞ্জমেন্ট; ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড ন্যাচারাল ডিসএস্টার ম্যানেজমেন্ট; এন্টারপ্রিনিউয়ারশিপ, ফিন্যান্সিয়্যাল এক্সেস অব ইযুথ এন্ড কোঅপারেটিভ; জেন্ডার, সোশ্যাল ইনক্লুশন এন্ড সোশ্যাল জাস্টিস; মাইগ্রেশন এন্ড হিউম্যান ট্রাফিকিং।
সেমিনারের বাইরেও স্থানীয় জনসাধারণ ও স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর সাথে বিভিন্ন সামাজিক বিষয়াবলি নিয়ে মতবিনিময়, বাংলাদেশ-নেপাল প্রীতি ফুটবল ও ক্রিকেট ম্যাচ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে এ সম্মেলনে।
৩১ মার্চ সম্মেলনের শেষ দিনে সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদপত্র ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হবে। সমাপনী অনুষ্ঠানে নেপাল ন্যাশনাল ইযুথ কাউন্সিল এর ভাইস চেয়ারম্যান মাধব ধুঙ্গেল প্রধান অতিথি এবং ইটাহারি মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের মেয়র শিব ধাকাল বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
এদিকে ২য় নেপাল বাংলাদেশ ইয়ুথ কনক্লেভ এর সফলতা কামনা করে বাণী দিয়েছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী জনাব ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বাণীতে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার বন্ধুত্ব আরো দৃঢ় হবে। আঞ্চলিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য তরুণদের এই সমন্বিত উদ্যোগ অনেক বেশি ফলপ্রসু হবে। বিশেষ করে ‘বিবিআইএন চুক্তি’ কার্যকরের পর তরুণদের এই সমন্বিত উদ্যোগ ও বন্ধুত্ব জোরদারের এখনই উপযুক্ত সময়।
বাণীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আরো বলেছেন, বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তরুণদের যে কোনো শুভ উদ্যোগকে পৃষ্ঠপোষকতা করার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি এবং তার সরকার তরুণদের ক্ষমতায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়েছেন।
বাণীতে তিনি এ সম্মেলনের আয়োজকদের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।