স্থায়ী কমিটিতে সিলেটের কেউ স্থান না পাওয়ায় বিএনপি নেতা জালালী পংকী’র ক্ষোভ
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ আগস্ট ২০১৬, ৪:৫৮ অপরাহ্ণ
কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নতুন কমিটির ‘নেতৃত্ব’ নিয়ে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করলেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক, সাবেক প্যানেল মেয়র হাজী আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী। তিনি তৃণমূলের প্রত্যাশা অনুযায়ী কমিটি ঘোষণা না হওয়ায় ক্ষুব্ধ ও চরম হতাশ।
গনমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, যারা আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে ছিলেন না সেসব নেতা কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। অথচ যারা জীবনবাজি রেখে আন্দোলন-সংগ্রাম করলেন তারা কোনো মূল্যায়ন পেলেন না।
এমনকি সিলেট বিএনপির কর্ণধার, কেন্দ্রের দাপুটে নেতা নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলীর জন্যও দলে কোন পদ জোটেনি। অথচ যে মানুষটি ছাত্রজীবন থেকে গোটা সিলেট বিভাগে তিল তিল করে গড়েছে জাতীয়তাবাদী শক্তির অবস্থান। যে মানুষটি বিএনপির জন্যই কারান্তরীণ হয়েছে বারবার। সে মানুষটি ‘নিখোঁজ’ থাকলেও তাকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যেকোনো একটি পদে রেখে সম্মান জানানো যেতো। আমাদের ধারণা ছিল সিলেটের রাজনীতিকে চাঙ্গা রাখতে শেষ পর্যন্ত ইলিয়াস আলীকে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে রাখা হতে পারে।
অথচ তাকে দলের কোনো পদই দেয়া হয়নি। সিলেটের কোটি মানুষের প্রান জননেতা এম ইলিয়াস আলীকে আজ কমিটিতে না রাখায় সিলেটের সাধারন মানুষসহ দলের তৃনমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
যখন নির্বাহী কমিটি ঘোষনা করা হলো তখন সিলেট বিএনপির তৃনমুলের সকল নেতাকর্মী হতাশ ও হতবাক হয়েছেন। যে নেতা জীবনবাজী রেখে বিএনপির রাজনীতি করেছিলেন এমনকি নিখোঁজ হয়েছেন সিলেটবাসীর সেই প্রিয় নেতা ইলিয়াস আলীর নাম তালিকার কোথাও নেই। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস ইলিয়াস আলী এখনো জীবিত আছেন। তিনি সরকারের গুম নামক কারাগারে বন্দি রয়েছেন। শিগগিরই আমরা তাকে আমাদের মাঝে ফেরত পাবো। কিন্তু কমিটিতে তাকে না রাখা দু:খজনক। এটা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এ নিয়ে তৃণমূলে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এখনো কেন্দ্র চাইলে ইলিয়াসকে সম্মানজনক পদ দিয়ে তার সন্ধান দাবির আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে সিলেটের প্রায় ৩০ নেতা স্থান পেলেও স্থায়ী কমিটিতে সিলেটের কেউ স্থান পাননি। আমাদের ধারণা ছিলো অতীতে যেভাবে স্থায়ী কমিটিতে ছিলেন অনেক মর্যাদাপূর্ণ ব্যাক্তিরা। তেমনি সিলেটের আরেক নেতা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শমসের মবিন চৌধুরীকেও স্থান দেওয়া হতে পারে। যদিও তিনি একান্ত শারীরিক অসুস্থতার কারণেই দল ও রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন কিন্তু তা দেশনেত্রী বেগম খালেদার কাছে গৃহীত হয়নি।