সিলেট-২ : সমঝোতার বলি কে, শফিক না ইয়াহইয়া?
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ৭:৪৩ অপরাহ্ণ
জুবেল আহমেদঃ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেকে সামনে রেখে সিলেট-২ আসনে ভোটারদের কাছে জনপ্রিয়তায় আলোচনায় রয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ ইয়াহইয়া চৌধুরী। এ আসনে আরো বৈধ প্রার্থী থাকলেও ভোটারদের মুখে রয়েছে এই দুজনেরই নাম। তবে এই নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে নিজস্ব প্রার্থী দিতে চায় জাতীয় পার্টি।
এদিকে দল মনোনয়ন দিলেও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী আবারো সমঝোতার বলি হতে পারেন। মহাজোটের প্রয়োজনে জাতীয় পার্টির চাহিদা মেটাতে গেলে আসনটিতে আবারো সমঝোতার বলি হয়ে কপাল পুড়তে পারে শফিক চৌধুরীর। এবারে জাতীয় পার্টি আসনটি পেলে শরিকদের কাছে হারানোর হ্যাটট্রিক করবেন তিনি।
বিগত দুটি নির্বাচনে এ আসনে জোটের বলি হতে হয় আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের। ২০০৮ সালে বিএনপির শক্তিশালী প্রার্থী ইলিয়াস আলীকে হারিয়ে এ আসনের মসনদে বসেছিলেন শফিক চৌধুরী। এরপর দুটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরীকে এই আসন ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। তাতে কপাল পুড়ে শফিক চৌধুরীর। মহাজোটের ব্যানারে দশম জাতীয় নির্বাচনে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ইয়াহইয়া চৌধুরী। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে হেরে যান জাপার এই প্রার্থী। নির্বাচিত হন ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরামের মোকাব্বির খান।
তবে দুবার হাতছাড়া হওয়া এ আসনটিতে এবার দলীয় প্রার্থী চান স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। টানা দুইবার দলের আনুগত্য থেকে ত্যাগ স্বীকার করা শফিকুর রহমান চৌধুরীর পক্ষে একাট্টা আসনটির আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দরা।
শফিক চৌধুরীর সমর্থকদের দাবি, ক্ষমতাসীন দল হয়েও বিগত দুটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী না থাকায় আসনটিতে উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। বিগত নির্বাচনগুলোতে তিনি মহাজোটের প্রয়োজনে ছাড় দিয়েছেন, এবার শফিক চৌধুরীকে ছাড় দেওয়ার কথা।
দুই মেয়াদে ত্যাগের পুরস্কার স্বরুপ শফিক চৌধুরীকে এ আসনে বহাল রাখারও গুঞ্জন আছে। এমনটি হলে কপাল পুড়বে জাপার প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরীর।
তবে ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পরিষ্কার হবে সবকিছু। সমঝোতা না হলে কে হচ্ছেন এ আসনের পরবর্তী এমপি সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।