১৫ বছরে প্রতিমন্ত্রী রাসেলের অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ১৭ গুণ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ৮:২৮ অপরাহ্ণ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। ২০০৪ সালে উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রথম তিনি সংসদ সদস্য হন। পরে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি অংশ নেন। সে সময়ে তার জমা দেওয়া নির্বাচনী হলফনামা ও দ্বাদশ জতীয় সংসদ নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী গত ১৫ বছরে মো. জাহিদ আহসান রাসেলের অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ১৭ গুণ। এছাড়া হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী স্থাবর সম্পদও বেড়েছে প্রতিমন্ত্রীর।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় তিনি পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন ব্যবসা ও কৃষি। ২০০৪ সালের উপনির্বাচনে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর নবম, দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি নির্বাচিত হয়ে আসছেন। নবম সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় তিনি পেশা হিসেবে ছাত্র ও ব্যবসা উল্লেখ করেছিলেন।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তিনি বাৎসরিক ব্যবসা থেকে আয় দেখান ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। নগদ অর্থ ছিল ১৫ হাজার টাকা। ব্যাংকে জমা দেখিয়েছিলেন ৭০ হাজার ৭৯৫ টাকা, পৈত্রিক সূত্রে ২ কোটি ১০ লাখ ৫ হাজার ৪৯০ টাকা মূল্যের গাড়ি দেখিয়েছিলেন। দায় হিসেবে দেখিয়েছেন সুদহীন ২ কোটি ১০ লাখ টাকা ছিল।
২০২৩ সালের হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেন, কৃষিখাতে তার কোনো আয় না থাকলেও ব্যবসা থেকে আয় হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, আমানত, ব্যাংক সুদ বাবদ আয় ৯৮ হাজার ৩৯০ টাকা। মন্ত্রী হিসেবে ভাতা পান ১৭ লাখ ৯৪ হাজার ৪২০ টাকা এবং বিশেষ সুবিধায় হিসেবে পেয়েছেন ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার ৮৩৮ টাকা। নগদ টাকা রয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ১৫১ টাকা। ব্যাংকে জমা আছে ১৪ লাখ ১৬ হাজার ১৩১ টাকা। স্ত্রীর কাছে নগদ আছে ৫ লাখ ৮ হাজার ৩৩ টাকা, স্ত্রীর ব্যাংকে জমা আছে ৯ লাখ ৪০ হাজার ৩৪৫ টাকা। তার বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার ২৩ লাখ ৭২ হাজার ৮১০ ও চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের শেয়ার আছে ৫ লাখ টাকার।
সংসদ সদস্য হিসেবে করমুক্ত কোটায় প্রাপ্ত নিজ নামে ৩টি গাড়ির মূল্য ৩ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে থাকা গাড়ির মূল্য ১৩ লাখ টাকা, অকৃষি জমি ১.৬৫০ শতাংশ যার ক্রয় মূল্য ৬ লাখ ৫০ হাজার ৪৫০ টাকা ও উত্তরা তৃতীয় প্রকল্পে ৫ কাঠা জমি, যার মূল্য ২৩ লাখ ১৯ হাজার ২৩৩ টাকা ও পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া একটি তিন তলা বাড়ির অংশ যার মূল্য ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৩৭০ টাকা। স্ত্রীর নামে রাজধানীর বনানীতে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া দুটি ফ্ল্যাট আছে। নিজের আছে ১৪০ তোলা স্বর্ন ও স্ত্রীর আছে ১৪৮ ভরি।
সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়ে জাহিদ আহসান রাসেল জানান, তার সব সম্পদই পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া।