কানাডাগামী সিলেটি যাত্রীদের ফেরত দেয়ায় বিমানের চেয়ারম্যানকে লিগ্যাল নোটিশ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ
দেশের প্রবাসীদের রেমিটেন্স অর্থনীতির অন্যতম সহায়ক শক্তি। দুর্দিনে, সংকটে এই রেমিটেন্স দেশের ভরসা। অথচ প্রবাসী পদে পদে হয়রানী হচ্ছেন দেশের মাঠিতে। কিন্তু এ থেকে পরিত্রানের পরিবর্তে দূভোর্গ লাঞ্চনা ক্রমশ যে বাড়ছে তা নতুন করে আলোচনায় এসেছে কানাডাগামী যাত্রীদের ফেরতের মধ্যে দিয়ে। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, সিলেটে বিমানবন্দরে বৈধ ভিসা নিয়ে ইমিগ্রেশনকালে অনেকযাত্রীকে অহেতুক প্রশ্নবানে জর্জরিত করে অর্থ আদায়ের ঘটনা ঘটছে অহরহ। যাত্রীরা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে চাপাকষ্ট বুকে নিয়ে অর্থ প্রদান করছেন অনেক ক্ষেত্রে। এদিকে, ৪২জন যাত্রীকে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চেয়ারম্যানকে।
কানাডাগামী সিলেটের ৪২ যাত্রীকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে দেওয়ার ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান সিনিয়র সচিব (অবসরপ্রাপ্ত) মোস্তাফা কামাল উদ্দীনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সিলেটের এক আইনজীবি।
মঙ্গলবার(১৪নভেম্বর) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি কাজী মোশাররফ রাশেদ এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন।
বিষয়টি সন্ধ্যায় তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গত ৬ নভেম্বর ঢাকা বিমানবন্দর থেকে কানাডাগামী ৪২ জন যাত্রীকে আটক করে তাদের বাড়িতে ফেরত পাঠিয়েছে শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ। অথচ তারা প্রত্যকেই কানাডার বৈধ ভিসা নিয়ে সিলেট ওসমানী বিমান বন্দরের তাদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ঢাকায় এসে ট্রানজিটে লাইঞ্জে টরেন্টোগামী বিমানের কানেকটিং ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষারত ছিলেন। ওই যাত্রীদের ফেরত প্রদানের কারন হিসেবে অভিযোগ করা হয়েছে যে আমন্ত্রনপত্রের মাধ্যমে তারা ভিসা পেয়েছেন সেটি ছিল ভূয়া। এছাড়া বলা হয়েছে ভিসা প্রাপ্তদের বেশিরভাগ এর আগে দেশের কোথাও বাইরে বেড়াতে যাননি। এটা তাদের প্রথম সফর। অথচ কানাডা হাইকমিশন ইতিপূর্বে ৪২জন যাত্রীর সংশ্লিষ্ট ভিসা আবেদনের সাথে সংশ্লিষ্ট আবেদনপত্রটি বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করেই প্রত্যেককে ভিসা ইস্যু করে।
তবে বিমানের একটি সূত্র এক গণমাধ্যমে জানায়, টরেন্টো পৌঁছানোর পর যদি এই যাত্রীরা ইমিগ্রেশনে আটকে যান, তাহলে প্রতিটি যাত্রীর জন্য বিমানকে ১৮০০ ডলার জরিমানা করা হবে।
সচেতন মহল বলছেন, অন্যদেশে যেখানে বিমানবন্দরে দেশি যাত্রীদের বিদেশ গমনে আলাদা সহায়তা করা হয় সেখানে বাংলাদেশ তার ব্যতিক্রম। এটা তাদের সাথে অন্যায় করা হয়েছে। ভিসার কাগজপত্রে যদি কোনো সমস্যা থাকতো তবে তা কানাডা নামার পর সেখানকার বিমানবন্দরে তাদের ইমিগ্রেশনের বিষয়। ভিসা কীভাবে পেলো এটা বিমান কর্তৃপক্ষের দেখার এখতিয়ার নেই। এতে দেশের ভাবমূতি ক্ষুন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে যারাই প্রবাসে যান তারা অনেক স্বপ্ন নিয়ে যান। এর সাথে অনেক পরিবারের স্বপ্ন এবং দেশের রেমিট্যান্সের ব্যাপারও জড়িত। তাই বিষয়টি ঠিক হয়নি।
লিগ্যাল নোটিশ প্রদানকারী এডভোকেট কাজী মোশাররফ রাশেদ বলেন, আইনী প্রক্রিয়া অনুসারের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে,আশা করছি আগামীকাল বিমান চেয়ারম্যান নোটিশটি প্রাপ্ত হবেন। ৭ দিনের মধ্যে কারন দশার্নোর কথা বলা হয়েছে, অন্যথায় ৪২ জন যাত্রীকে হয়রানি ও মানহানী এবং অপূরণীয় আর্থিক ক্ষতির পরিপেক্ষিতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দেওয়ানী ফৌজদারী আদালতে এমনকি উচ্চ আদালতে বাংলাদেশ সংবিধানের এর আর্টিকেল ১০২ মোতাবেক মোকদ্দমা দায়ের করিতে বাধ্য হব।