সিলেটে ফের লোডশেডিং
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৪:২৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের ডিও লেটারের পর সিলেটে লোডশেডিং কমেছিল। রুটিন কাজ ছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগের তরফ তরফ থেকে লোডশেডিং দেয়া হয়নি। এর আগে মে মাসে সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে ফোন দিয়েছিলেন নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। ফলে নির্বাচনকালীন সময়ে এক মাস সিলেটে কোনো লোডশেডিং ছিল না। কিন্তু নির্বাচনের পর লোডশেডিং পরিস্থিতির অবনতি হয়। গত ৩ দিন ধরে তাপপ্রবাহের কারণে সিলেট অঞ্চলে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। দিনে ও রাতে সব সময়ই লোডশেডিং করা হচ্ছে। এতে নাগরিক জীবনযাত্রা অসহ্য হয়ে উঠেছে। এখন কোনো কোনো এলাকায় পিক টাইমে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং করা হচ্ছে।
গতকাল বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য থেকে জানা গেছে; সিলেটে ৩০ থেকে ৩৩ ভাগ লোডশেডিং করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকা ও অঞ্চলভিত্তিক এ লোডশেডিং করা হয়। সিলেট বিভাগে গতকাল লোডশেডিং করা হয় ৩১ শতাংশ।
বিউবো ও পল্লী বিদ্যুৎ মিলিয়ে সিলেট বিভাগে বিদ্যুতের মোট চাহিদা ছিল ৫৬৬ মেগাওয়াট। এর মধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে ৪০০ মেগাওয়াট। এতে ১৬৬ মেগাওয়াটের ঘাটতি ছিল। আর ওই ঘাটতি পূরণ করতে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে লোডশেডিং করা হয়। সিলেট জেলায় বিউবো ও পল্লী বিদ্যুৎ মিলে চাহিদা ছিল ২৫৮ মেগাওয়াট। বিপরীতে জাতীয় গ্রিড থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুৎ ১৮২ মেগাওয়াট। ফলে ৭৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লোডশেডিং করতে হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুতের চেয়ে বিউবোতে লোডশেডিং মাত্রা বেশি ছিল। গড়ে ৩৩ শতাংশ লোডশেডিং করতে হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ৩ ধরে সিলেটে একই হারে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। সিলেট নগরে বিউবো ৩টি জোনে ভাগ করে এই লোডশেডিং করা হয়।
এতে বাণিজ্যিক এলাকায়ও লোডশেডিং হয়েছে। সিলেট বিদ্যুৎ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদের জানিয়েছেন- গরমের কারণে হঠাৎ করে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। আগের তুলনায় অনেক বেশি চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। তবে গরম কমে গেলে চাহিদা কমে আসবে। এ ছাড়া অন্য কোনো কারণে বর্তমানে লোডশেডিং করা হচ্ছে না। এদিকে সিলেটের লোডশেডিংয়ের কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। রাতে লোডশেডিং হওয়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে মানুষ। সিলেটের ব্যবসায়ী নেতারা জানিয়েছেন, দিনের বেলা নগরীর বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার সহ কয়েকটি এলাকায় ঘন ঘন লোডশেডিং করা হয়। এ কারণে এসব এলাকায় ব্যবসা করতে জেনারেটর চালু করতে হচ্ছে। এতে করে লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এই অবস্থা চলতে থাকলে সিলেটের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে বলে জানিয়েছেন তারা।