লাখাইয়ে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার: পরিবারের দাবি হত্যাকান্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩, ৯:০৬ অপরাহ্ণ
লাখাই প্রতিনিধি:
লাখাইয়ে বসতঘরের তীরের সাথে ওড়না দিয়ে প্যাচানো এবং মাটিতে পা লাগানো অবস্থায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ( ১৩ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় উপজেলার ১ নং লাখাই ইউনিয়নের বাজার হাটির বাসিন্দা আরমান মিয়ার ( ২০) বসতঘর থেকে তার স্ত্রী সাদিয়া খাতুনের (১৮) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে স্বজনগ্রাম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ।
মৃতের স্বামীর আরমান মিয়া জানান, সকালে বাজার থেকে মুরগি নিয়ে আসার পর তাকে রান্নার কথা বলি৷ সে কথার উত্তর না দেওয়ায় রাগে রান্নার মাটির চুলা ভেঙে আমি বাইরে চলে যাই। দুপুর আনুমানিক ১ টায় এসে দেখি সে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে রয়েছে। তারপর আমার কান্না শুনে লোকজন আসে।
পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃতের স্বামী আরমান মিয়াকে হেফাজতে নিয়েছে।
তবে মৃত সাদিয়া খাতুনের পরিবার দাবি করছেন, তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেনি, তাকে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে তার স্বামী আরমান মিয়া ( ২০) ও ভাসুর লালচাঁন মিয়া (৩৫)।
এ ব্যাপারে মৃত সাদিয়ার ভাই শাহীন মিয়া জানান,প্রায় আড়াই মাস আগে আমার বোনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তেমন কোন ঝামেলা ছিলনা। ঘটনার পরপরই ভাসুর লালচান মিয়া পলায়ন করায় এবং লাশ মাটিতে পা লাগানো অবস্থায় ঝুলিয়ে থাকায় আমাদের সন্দেহ তাদের উপর হচ্ছে। তারাই মেরে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে।
মৃতের পিতা গাজীপুর হাটির বাসিন্দা বাবু মিয়া বলেন, আমার মেয়েকে তার স্বামী ও ভাসুর মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে। যদি আমার মেয়ে ফাঁসি লাগতো তাহলে মাটিতে পা ঝুলানো থাকতো না, জিহ্বা বের করা থাকতো। তাছাড়া ঘটনার সময় তারা দুই ভাই বাড়িতেই ছিল। আমাদের পাশাপাশি বাড়ি হলেও আমরা বাড়ির বাইরে কাজে ছিলাম। লোকজনের কাছ থেকে শুনে আমরা বাড়িতে আসি।
ঘটনার পরপরই পুলিশ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও মুরুব্বীয়ানদের সহায়তায় বাইরে থেকে ঘরের তালা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে। কে বা কারা তালা লাগিয়েছে এ নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। তবে মৃতের স্বামী আরমান মিয়া ও পার্শ্ববর্তী কয়েকজন বাসিন্দা স্বীকার করেন পুলিশ আসার আগে দরজা খোলা ছিল।
প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্টে মৃতের গলায় দুই দিকে ওড়নার দাগ পাওয়া যায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় নি।
লাখাই থানার ওসি নুনু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশপাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে সঠিক কারন জানা যাবে, তবে তদন্ত চলছে।