বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুরে চ্যালেঞ্জে আ’লীগ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ অক্টোবর ২০২২, ১১:১৩ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেট বিভাগের দুটি উপজেলা ও একটি পৌরসভায় আগামী ২ নভেম্বর ভোট গ্রহণ হবে। এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন দলটির অন্য নেতারা। সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভায় এবং সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদে দল থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। অন্যদিকে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদে একক প্রার্থী থাকলেও বাকিদের মধ্যে বিরাজ করছে অসন্তোষ। ফলে ইভিএমে হতে যাওয়া এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগই।
গত মঙ্গলবার গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় জগন্নাথপুর উপজেলায় সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আকমল হোসেন, ওসমানীনগরে সিলেট জেলা যুবলীগ সভাপতি শামীম আহমদ (ভিপি শামীম) এবং বিশ্বনাথ পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। মনোনয়ন চাওয়া মোট ২২ নেতা থেকে তিনজনকে বেছে নেওয়া হয়। সভায় দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ প্রার্থী হবেন না- প্রতিশ্রুতি দিলেও, শেষ পর্যন্ত দুই নেতা বিদ্রোহী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
জগন্নাথপুরে গতকাল দলীয় প্রার্থী আকমল হোসেনের সঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদির আহমদ মুক্তা। আর বিশ্বনাথ পৌরসভায় দলীয় প্রার্থী ফারুক আহমদের সঙ্গে বিদ্রোহী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রবাসী নেতা আকদ্দুছ আলী। ফলে জগন্নাথপুর ও বিশ্বনাথে ভোটের অঙ্ক নিয়ে নতুন জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত দু’জনকে ‘ম্যানেজ’ করবে হাইকমান্ড। জাতীয় নির্বাচনের আগে নতুন করে কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছেন না তাঁরা। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন ১৭ অক্টোবর দু’জনই সরে দাঁড়াবেন। এ নির্বাচনে ১৮ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। তবে মুক্তা এবং আকদ্দুছ- দুই প্রার্থীই শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তাদির আহমদ মুক্তা জানান, নির্বাচন করার জন্যই তিনি মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। প্রত্যাহারের প্রশ্নই ওঠে না।
অন্যদিকে, ওসমানীনগরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম আহমদ একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও মনোনয়ন বঞ্চিত দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
মনোনয়ন বঞ্চিত জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু বলেন, ‘অনেক কথা ছিল। কিন্তু বলতে পারছি না। নেতাকর্মীদের চাপের মধ্যে রয়েছি।’
বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য আমরা অনুরোধ করব। তাঁরা না শুনলে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সুত্র-সমকাল