হবিগঞ্জে কনস্টেবলের বিরুদ্ধে স্ত্রীর নির্যাতন মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ এপ্রিল ২০২২, ৭:২৯ অপরাহ্ণ
হবিগঞ্জে পুলিশের এক কনেস্টবলের বিরুদ্ধে যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেছেন তার স্ত্রী।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ আদালতে মামলাটি করেন শায়েস্তাগঞ্জের নসরতপুর গ্রামের আলফু মিয়ার মেয়ে তাহমিনা আক্তার ইমা।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য শায়েস্তাগঞ্জ সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামি কনস্টেবল ময়নুল ইসলাম সিলেট জেলার গোয়াইনঘাটের জাফলং ছোটখেল গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে। তিনি বর্তমানে মৌলভীবাজারে কর্মরত আছেন।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোর্শেদা আক্তার মনি জানান, মামলাটি তদন্তের জন্য তার কাছে দেওয়া হয়েছে। তিনি ঈদের পর উভয়পক্ষকে ডাকবেন।
তিনি বলেন, দুপক্ষের কথা শুনে রিপোর্ট দেব। তবে আমরা চাইব যেন তারা সংশোধন হয়ে যান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৫ জুলাই ময়নুলের সঙ্গে ইমার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর ময়নুল স্ত্রীকে জানান, চাকরিতে কঠোর পরিশ্রম; তিনি চাকরি করতে চান না। তাই চাকরি ছেড়ে ইউরোপে যেতে চান। তাই ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন।
গত ২৮ জানুয়ারি শ্বশুরবাড়িতে এসে ইমাকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে একখণ্ড জমি বিক্রি করে টাকা জোগাড় করে দেওয়ার জন্য বলেন তিনি। এতে ইমা রাজি না হওয়ায় তাকে বেদম মারধর করেন।
এ সময় ইমা চিৎকার শুরু করলে স্বজনরা এগিয়ে এলে ময়নুল মোটরসাইকেলে পালিয়ে যান। পরে আহত অবস্থায় ইমাকে সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সুস্থ হয়ে ২৮ মার্চ আদালতে মামলা করেন ইমা। আদালত মামলটি আমলে নিয়ে এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।