হবিগঞ্জে নারীকে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন, ছবি ভাইরাল
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:১৬:১৫,অপরাহ্ন ১৮ এপ্রিল ২০২২
সুরমা নিউজ:
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের ফতেহপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক নারীকে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালিয়েছে একদল গ্রাম্য দাঙ্গাবাজ।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার ১৭ই এপ্রিল বানিয়াচং উপজেলার প্রত্যন্ত হাওর এলাকার ৯নং পুকড়া ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ফতেহপুর গ্রামের ওয়াহেদ মিয়া তার নিজস্ব ভিটের মাটি আটকানোর জন্য বাঁশের খুঁটি দিয়ে আঁড় বাঁধছিলেন। এসময় পাশের বাড়ির আব্দুল খালিক এসে ওয়াহেদ মিয়াকে বলেন, এ বাঁশের খুঁটিগুলো তার বাড়ি থেকে চুরি করে নিয়ে আসা হয়েছে।
এসময় বারবার ওয়াহেদ মিয়া এ খুঁটিগুলো তার দাবি করলেও তা মানতে নারাজ আব্দুল খালিক মিয়া। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক বিতর্কের সৃষ্টি হলে আব্দুল খালিক মিয়া ও তার ছেলেরা এসে ওয়াহেদ মিয়াকে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে আব্দুল খালিক তার দলবল নিয়ে ওয়াহেদ মিয়ার স্ত্রী সরলা বেগম (৪০) কে ঘর থেকে তুলে নিয়ে আব্দুল খালিক মিয়ার বাড়ীর কাঠাঁল গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায়।
এক পর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সরলা বেগম। তারপরেও চলে নির্যাতন। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাফেজ শামরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে মুমূর্ষ অবস্থায় সরলা বেগমকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় হবিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে সরলা হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ দিকে বানিয়াচং থানায় ঘটনাটি অবগত হওয়ার পরপরই সেখানে ছুটে যান বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসাইন, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. কবির হোসেনসহ একদল পুলিশ।
এ বিষয়ে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন’র সাথে আলাপকালে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান।
এ বিষয়ে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ কবির হোসেন জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।