সুনামগঞ্জে হাওরে তলিয়ে গেল ৫৫০ একর জমির আধপাকা ধান (ভিডিও)
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ এপ্রিল ২০২২, ২:০৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে এ্যারাইল্যাকোনা হাওরে আধপাকা বোরো ধান তলিয়ে গেল। শুক্রবার দুপুরের দিকে হাওরের ওই বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় ৫৫০ একর জমির ধান তলিয়ে যায়।
শুক্রবার বিকালে সরেজমিনে গেলে উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের কৃষক ইমানুল হক, তেরঘরের কৃষক রমজান আলী বলেন, এ্যারাইল্যাকোনা বোরো ফসলরক্ষা বাঁধসহ আরও একাধিক ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে পানি উন্নয়ন বোর্ড উদাসীনতার পরিচয় দিয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে।
উপজেলার রতনপুর গ্রামের কৃষক মো. উমর আলী বলেন, এ্যারাইল্যাকোনা হাওরে বাগলী, রতনপুর, বিনোদপুর, তেরঘরসহ কয়েকটি গ্রামের কৃষকদের প্রায় ৫৫০ একর জমির আধপাকা বোরো ধান কৃষকদের সামনেই বাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে। এমনভাবে উপজেলা প্রশাসন, পাউবোর উদাসীনতার কারণে বাঁধ নির্মাণ কাজ এড়িয়ে যাওয়ায় প্রতি বছর বাঁধ ভেঙ্গে বোরো ফসলহানির কান্নার মাতম চলে কৃষকদের ঘরে ঘরে।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান উদ দৌলা বলেন, এ্যারাইল্যাকোনা বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় তাহিরপুরের উপকারভোগী কৃষক পরিবারগুলোর প্রায় ৫৫০ একর জমির আধা পাকা বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।
পরিবেশ ও মানবাধিকার উন্নয়ন সোসাইটির স্থানীয় প্রতিনিধি বলেন, এ্যারাইল্যাকোনা হাওরে বাঁধ ভেঙ্গে স্থানীয় কৃষকদের প্রায় ১১শ থেকে ১২শ মেট্রিকটন আধা পাকা বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।
পাউবোর সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ সহকারী প্রকৌশলী (পওর-১) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এ্যারাইল্যাকোনাসহ আরও কয়েকটি ছোট ছোট হাওরের বোরো ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাভুক্ত রাখা হয়নি।
তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলী হায়দার বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) নির্দেশে কাবিখা কিংবা টিআরসহ অন্য যে কোনো বরাদ্দ থেকে ব্যয় পরিশোধের আশ্বাসে ইউনিয়ন পরিষদের তদারকিতে দুই দফায় এ্যারাইল্যাকোনা হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করেছিলাম।
শুক্রবার বিকালে তাহিরপুর উপজেলা বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রায়হান কবির বলেন, এ্যারাইল্যাকোনা ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার বাঁধটি টেকেনি বলে জেনেছি।সুত্র-যুগান্তর