বড়লেখায় এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ এপ্রিল ২০২২, ১২:২৪ পূর্বাহ্ণ
স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক :
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় রুবেল (২৮) নামে এক যুবককে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ বড়লেখা সদর ইউনিয়নের মেম্বার সাবুল আহমদ ও তার ভাই নবাব আহমদরা তাকে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ওই যুবককে হত্যা করেছে।
শুক্রবার (০৮ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার সদর ইউপির কেছরিগুল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নিহত রুবেলের ভাই সুমন আহমদও আহত হয়েছেন। নিহত রুবেল সদর ইউপির কেছরিগুল গ্রামের মৃত সইফ উদ্দিনের ছেলে। রুবেল পেশায় রাজমিস্ত্রী ছিলেন।
নিহত রুবেলের চাচাতো ভাই এমরান আহমদ বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজের সময় আমাদের এলাকার (কেছরিগুল) মসজিদে প্রতিবেশী জনৈক জামাল আহমদের সঙ্গে বড়লেখা সদর ইউনিয়নের মেম্বার সাবুল আহমদ ও তার ভাই নবাব আহমদ গংদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয় এলাকার লোকজন বিষয়টি সমাধান করে দেন।
আসরের শুক্রবার নামাজের সময় জামাল আহমদের ছেলে ও ভাতিজাদের সঙ্গে সদর ইউপির মেম্বার সাবুল আহমদের ভাই নবাব আহমদ গংদের ছেলে ও ভাতিজাদের ঝগড়া হয়। ঘটনার সময় আমার চাচাতো ভাই রুবেল আহমদ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এসময় রুবেলকে জনৈক জামাল আহমদের পক্ষের লোকজন ভেবে আটকে রেখে মারধর শুরু করেন ইউপির মেম্বার সাবুল আহমদ ও তার ভাই নবাব আহমদ গংরা।
একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতে তিনি গুরুতর আহত হন। রুবেলকে বাঁচাতে গিয়ে তার ভাই সুমন আহমদও আহত হন। পরে স্থানীয়রা রুবেলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সাবুল আহমদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগর চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায় ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার শুক্রবার রাতে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছি। সাবুল মেম্বার ও তার ভাই-ভাতিজা মিলে একজন পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।