মৌলভীবাজারে বিষপান করে একসঙ্গে জীবন দিলেন প্রেমিক-প্রেমিকা!
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ এপ্রিল ২০২২, ৭:১৭ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মাধবপুর ইউনিয়নের দলই চা বাগানের লছমী লাইনের হারো সাওতালের ছেলে চা শ্রমিক বিপুল সাওতাল (২২) এর সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠেছিল একই বাগানের নতুন লাইনের কৃষ্ণ মাদ্রাজীর মেয়ে গীতা মাদ্রাজীর (১৬)।
একপর্যায়ে গীতা মাদ্রাজী অন্তস্বত্তা হয়ে পড়লে প্রায় এক মাস পূর্বে গীতাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে বিপুল সাওতাল। বিষয়টি বিপুলের পরিবার মেনে নিতে পারেনি। এ নিয়ে প্রায়শই পরিবারের সাথে ঝগড়া হতো বিপুলের। আর এতেই অভিমান করে শনিবার সকালে প্রেমিক যুগল একসাথে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। তারপরে সবার অজান্তে দুজনেই বিষপান করে এই প্রেমিক-প্রেমিকা। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বছরখানেক আগে থেকে দলই চা বাগানের বিপুল সাওতাল একই বাগানের গীতা মাদ্রাজীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গীতা অন্তস্বত্তা হয়ে পড়লে গীতা প্রেমিক বিপুলকে ঘরে তোলার চাপ দেয়। প্রায় এক মাস পূর্বে গীতাকে নিজ ঘরে তুলে বিপুল। কিন্তু তাদের এই বিষয়টি বিপুলের পরিবার মেনে নিতে অসম্মতি জানালে ক্ষোভ ও অভিমান করে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তারা। পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে দ্রæত তাদের উদ্ধার করে প্রথমে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে শনিবার দুপুরে গীতা মাদ্রাাজী মারা যায়। পরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে বিপুল সাওতাল এর মৃত্যু হয়। দলই চা বাগান পঞ্চায়েত সম্পাদক সেতু রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে কি কারণে তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নিল তা বলতে পারব না।
মাধবপুর ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য শিবনারায়ণ শীল জানান, মেয়েটি অন্তস্বত্তা ছিল। প্রায় এক মাস ধরে মেয়েটি ছেলের বাড়িতেই অবস্থান করছে।
কমলগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইশতিয়াক আহমদ জানান, মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালেই দুজনের ময়নাতদন্ত হবে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হবে। প্রেমিক ও প্রেমিকার লাশ নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।