টিসিবি’র পণ্য কিনতে লাইনে বাড়ছে মধ্যবিত্তের সংখ্যা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ৪:১৪ অপরাহ্ণ
চাল, তেল, ডাল, চিনির মতো নিত্যপণ্যের রেকর্ড দামের কারণে, টিসিবি’র পণ্যই এখন নিম্ন আয়ের মানুষের শেষ ভরসা। মূল্যস্ফীতির চাপে লাইনে বাড়ছে মধ্যবিত্তেরও সংখ্যা।
তবে চাহিদার তুলনায় ট্রাক প্রতি পণ্যের বরাদ্দ কম হওয়ায়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও খালি হাতে ফিরতে হয় সিংহভাগ মানুষকে। তারা বলছেন, করোনায় নিঃস্ব হওয়া মানুষদের কথা ভেবে ট্রাকের সংখ্যা আর পণ্যের পরিমাণ বাড়ানো উচিত টিসিবির।
একটু কম দামে টিসিবির পণ্য কিনতে আসা মানুষের এমন দীর্ঘ লাইন দেখলেই বোঝা যায় কতটা অসহায় মানুষ। নির্ধারিত যায়গায় ট্রাক পৌঁছানোর আগেই অপেক্ষার প্রহর শুরু হয় এসব মানুষের।
তবে করোনার ভয় উপেক্ষা করে এমন গদাগাদি অবস্থায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও টিসিবির পণ্য জোটে না সবার ভাগ্যে। কারণ প্রতি ট্রাকের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৬শ’ লিটার সয়াবিন তেল, ৫শ’ কেজি চিনি ও ৪শ’ কেজি মসুর ডাল।
ফলে ৫৫ টাকা দরে ২ কেজি মসুর ডাল, ৬৫ টাকা দরে ২ কেজি চিনি এবং ১১০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারছে মাত্র দু’শ জন। বাকিদের হয় শুধু ডাল অথবা তেল নিয়ে ফিরতে হয়। যদিও টিসিবির পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ফেরা মানুষের সংখ্যাই বেশি।
কম দামে পণ্য কিনতে আসা এসব মানুষেরা বলছেন, ২ লিটারের পরিবর্তে ৫ লিটার তেল এবং ট্রাক আর পণ্যের সংখ্যা ও পরিমাণ বাড়ানো উচিত টিসিবির।
তবে দ্রব্যমূল্যের জাঁতাকলে এসব মানুষরা প্রতিনিয়ত পিষ্ট হলেও মূল্যস্ফীতি নিয়ে বিস্ময়কর তথ্য দিয়েছে বিবিএস। চাল, ডাল, তেল, চিনির দাম দেশের ইতিহাসে এই মুহূর্তে সর্বাচ্চ হলেও সরকারি সংস্থাটি বলছে, পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে ডিসেম্বরের তুলনায় শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ কমে জানুয়ারিতে দেশে সার্বিক মূল্য স্থিতি হয়েছে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ