চুনারুঘাটে শিক্ষকদের ‘কল্যাণে’ নোট ও গাইড বইয়ের ছড়াছড়ি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ৯:৪৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনেক আগেই প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত নোট ও গাইড বই নিষিদ্ধ করেছে। এর পরেও হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বাজারগুলোতে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বই। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও শিক্ষকদের মাধ্যমে গ্রামগঞ্জের শিক্ষার্থীদের হাতে এসব নোট ও গাইড ছড়িয়ে পড়েছে।
অভিযোগ আছে নোট ও গাইড প্রকাশনী সংস্থাগুলো বিদ্যালয় বা শিক্ষকদের নানা রকম সুবিধা দিয়ে এসব বইয়ের ব্যবসা করছে।
ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নোট ও গাইড ব্যবসা বহু বছর ধরে চলে এলেও বর্তমান সৃজনশীল পদ্ধতির জন্য তা আরো বেড়ে গেছে। এই পদ্ধতিতে পাঠদানে শিক্ষকেরা যতেষ্ট দক্ষ নন বলে শিক্ষা শিক্ষার্থীদের নোট ও গাইডের ওপর নির্ভরশীল হতে হচ্ছে। আর লাভবান হচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
চুনারুঘাট উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শতাধিক বইয়ের দোকানে প্রকাশ্যে নোট ও গাইড বই বিক্রি হচ্ছে। একজন অভিভাবক জানান, নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বই বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফলে অবৈধ ব্যবসা আরো প্রসারিত হচ্ছে।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক বই ব্যবসায়ী জানান, নোট ও গাইড প্রকাশ না হলে আমরাও বিক্রি করতাম না। বাজারে গাইড বই আসে তাই আমরা বিক্রি করি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, নোট ও গাইড প্রকাশনী সংস্থার সাথে বিদ্যালয় বা শিক্ষকদের নানা রকম সুবিধা দিয়ে থাকে। এ কারণে শিক্ষকরা অনেক সময় ছাত্রছাত্রীদের গাইড কেনার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। শিক্ষকরা যে নোট কিনতে বলেন তা-ই কিনে দেই।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুল হক ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের অনুমোদনহীন বই শিক্ষার্থীদের দিয়ে কেনা অপরাধ। শিক্ষকদের মাসিক সভায় এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিত রায় দাশ বলেন, নিষিদ্ধ নোট ও গাইডের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।